নারীমনে ঝড় তুলে দিতে পারেন ঠোঁটের কোণের একচিলতে হাসিতে। একটু অন্যভাবে চিন্তা করেন সবকিছু। একটু অন্য ধাঁচের মানুষ। ‘লিবারল’ বলা উচিত, নাকি ‘ন্যাচরাল’… কোন খাতে ফেলা উচিত মিলিন্দ সোমনকে? সত্যি জানা নেই। তিনি যখন প্রেমিকার সঙ্গে সম্পূর্ণ নগ্ন দেহে পাইথন জড়িয়ে একটি বিজ্ঞাপনের ফটোশুট করেছিলেন, রণবীর সিং তখন হয়তো নেহাতই শিশু। নিজের ৫০তম জন্মদিন পালনে সমুদ্র সৈকতে নগ্ন দেহে দৌড়ে ফের বিতর্ক সৃষ্টি করেছিলেন কিছুদিন আগেই। মধুর সঙ্গে সাপ জড়িয়ে ফটোশুট করেছিলেন বলে আদালতে যেতে হয়েছিল মিলিন্দকে। মামলা চলেছিল টানা ১৪ বছর। একপ্রকার ‘বন(আদালত)বাস’ হয়েছিল ৫০-এর চির তরুণ মিলিন্দের। রণবীর সিংয়ের নগ্ন ফটোশুট নিয়ে এবার মুখ খুললেন স্বয়ং মিলিন্দ। কী বললেন তিনি?
অভিনেতা প্রথমে সরব হয়েছেন সোশ্য়াল মিডিয়ায়। ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে তাঁর তৈলাক্ত, চকচকে নগ্নতার কিছু ছবি পোস্ট করে ফের শোরগোল ফেলে দিয়েছেন মিলিন্দ। বিষয়টি ব্যাখ্যা করেছেন অভিনেতা-মডেল। তাঁর কথায়, “কিছুই পাল্টায়নি। মানুষ পাল্টায় না। মানুষ সেটা নিয়েই কথা বলেন, যেটা তাঁরা পছন্দ করেন, কিংবা করেন না। সত্যি কথা বলতে ইতিহাসে এমন কোনও সময় আসেনি, যখন মানুষ কটাক্ষ করেননি। তাঁদের সবকিছু পছন্দ হয়েছে, সেটাও বলা যায়না। যখন খাজুরাহো তৈরি হয়েছিল, মানুষ রুখে দাঁড়িয়েছিল। কিন্তু এখন দেখুন, মানুষ দিব্যি গ্রহণ করে নিয়েছেন। বিষয়টিকে ভারতীয় সংস্কৃতি ও সভ্যতার অংশ হিসেবে গ্রহণও করে নিয়েছেন…”
কথার প্রসঙ্গে বিখ্য়াত ভারতীয় চিত্রকর রাজা রবি ভার্মার কথা বলেছেন মিলিন্দ। তাঁর বিরুদ্ধেও আইনি মামলা হয়েছিল। ফলে হাজার বছর আগে সমাজ যে জায়গায় ছিল, এখনও সে জায়গাতেই আছে… মত মিলিন্দ সোমনের।