Bollywood Fights: শুটিং সেটে দুই নায়িকার চুলোচুলি, চড় খেয়েছিলেন অমৃতা রাও; চপেটাঘাতের পর কী বলেছিলেন এষা দেওল?
Actress Anger: ফ্লোরে ঝামেলা হয়েছিল দুই নায়িকার। মেজাজ হারিয়ে অমৃতাকে টেনে এক চড় কষিয়ে দিয়েছিলেন এষা।
তাঁদের একজন তারকা সন্তান। অন্যজন বাইরে থেকে এসে জায়গা করে নেওয়া তারকা। যদিও দু’জনের কারওরই হাতে তেমন কাজ নেই এখন। কিন্তু এই দুই তারকাই একটা সময় ফিল্মের সেটে চুলোচুলি করেছিলেন। একজন অন্যজনকে থাপ্পড় মেরেছিলেন। এতে পরবর্তীতে কোনও আপেক্ষও হয়নি চপেটাঘাত করা নায়িকার। বলেছিলেন, “যা করেছি, বেশ করেছি… ওর ওটাই প্রাপ্য ছিল।” যিনি চড় খেয়েছিলেন তিনি অভিনেত্রী অমৃতা রাও। যিনি তাঁকে চড় মেরেছিলেন তিনি ধর্মেন্দ্র ও হেমা মালিনীর কন্যা এষা দেওল। ২০০৬ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘পেয়ারে মোহন’ ছবিতে একসঙ্গে কাজ করেছিলেন এষা-অমৃতা। ছবিতে ছিলেন বিবেক ওবেরয় ও ফারদিন খানও। ২০০৫ সালে ছবির শুটিং চলছিল পুরোদমে। ফ্লোরে ঝামেলা হয়েছিল দুই নায়িকার। মেজাজ হারিয়ে অমৃতাকে টেনে এক চড় কষিয়ে দিয়েছিলেন এষা।
এই ধরনের ঘটনা কখনও চাপা থাকে না। ঠিক যেমন শুটিং সেটে ঐশ্বর্য রাই বচ্চনকে সলমন খানের চড় মারার ঘটনা চাপা থাকেনি। এই ঘটনাটিও জানতে সময় লাগেনি। নিন্দার মুখে পড়েছিলেন এষা দেওল। বিদ্রুপ সহ্য করেছিলেন সেই সময়। তবে সহ-অভিনেত্রীকে চড় মেরে তিনি শান্ত ছিলেন না একবিন্দুও। অনেকে জানতে চেয়েছিলেন, তিনি কি অনুতপ্ত? এষা জবাবে বলেছিলেন, তিনি একটুকুও অনুতপ্ত নন। বরং যা করেছেন নাকি ঠিকই করেছেন। এটাই নাকি অমৃতার প্রাপ্য ছিল।
ঠিক কী ঘটেছিল?
এষা দেওলের দাবি, “একদিন শুটিংয়ের পেকআপের পর অমৃতা আমাকে সরাসরি পরিচালক ইন্দ্র কুমারের সামনে অপমান করেছিল। আমাদের ক্যামেরাম্যানও ছিলেন সেখানেই। মনে হয়েছিল, বিষয়টা সীমা অতিক্রম করছে। তাই আমি এই পদক্ষেপ নিয়েছিলাম। নিজের আত্মসম্মান বাঁচানোর জন্য আমাকে ওকে চড় মারতেই হয়েছিল। আমি একটুকুও অনুতপ্ত নই সেই জন্য। নিজের আত্মসম্মানের জন্য লড়াই করা দোষের কিছু নয়।”
পরবর্তীকালে নাকি এষার কাছে ক্ষমা চেয়েছিলেন অমৃতা। হেমা মালিনীর কন্যা তাঁকে ক্ষমাও করে দিয়েছিলেন।