দিন কয়েক আগেই হুমকি ইমেল পাঠানো হয়েছে সলমন খানকে। নেপথ্যে আবারও সেই একই ব্যক্তি ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা। পুলিশ সূত্রে খবর, অভিনেতার অফিসে গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই ও তাঁর দলবলের তরফে একটি ইমেল করা হয়েছে। তাতে লেখা, লরেন্সের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ক্যানাডার ধুরন্ধর দুষ্কৃতি গোল্ডি ব্রার সুপারস্টারের সঙ্গে কথা বলতে চায়। পঞ্জাবি গায়ক ও রাজনৈতিক নেতা সিধু মুসেওয়ালা খুনেও মূল চক্রী এই লরেন্স ও গোল্ডি। শুধু তাই নয়, সলমনকে হাজতে বসে খুনের হুমকিও দিয়েছে এই লরেন্স। এরপরেই লরেন্স তথা বিষ্ণোই সমাজের কাছে ক্ষমা চাইলেন সলমনের ‘বোন’ বলে নিজেকে দাবি করা রাখি সাওয়ান্ত।
এক ভিডিয়োতে তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, “আমি সলমন খান ভাইয়ের তরফে আপনাদের থেকে ক্ষমা চাইছি। ওঁকে কিছু করবেন না। উনি খুব ভাল মানুষ। গরীবদের জন্য অনেক কিছু করেন। যারা সলমন খানের বিপক্ষে রয়েছে তাঁদের একটাই কথা বলতে চাই, উনি কী করেছেন। কেন আমার ভাইয়ের পিছনে লেগেছ? আমার মায়ের জন্য উনি অনেক কিছু করেছেন।”
কেন লরেন্সের এত রাগ সলমনের উপর? লরেন্স ঘনিষ্ঠ সম্পত নেহরা পুলিশের জালে বন্দি হন ২০১৮ সালে। সেখানেই জেরার মুখে অভিযুক্ত দাবি করেন সলমন খানকে হত্যার ছক কষেছিল তারা। আর এই গোটা পরিকল্পনার মূল ষড়যন্ত্রী ছিল লরেন্সই। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছিল কৃষ্ণসার হত্যার জন্যই সলমনকে সরিয়ে দিতে চেয়েছিল বিষ্ণোই গ্যাং। লরেন্স জাঠ। আর তাদের সম্প্রদায়ে কৃষ্ণসার পবিত্র। সেই কারণেই লরেন্সের আক্রোশ জন্মেছিল সুপারস্টারের উপর। যদিও সম্পত ধরা পড়ায় সে যাত্রায় ভেস্তে যায় প্ল্যান। ২০২১ সালে দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল লরেন্স বিষ্ণোই এবং তার গ্যাংয়ের গুন্ডাদের বিভিন্ন রাজ্য থেকে MCOCA মামলায় আদালতে নিয়ে যাওয়ার সময়েও যোধপুরে সলমনকে হত্যার হুমকি দিয়েছিল লরেন্স। আর এর পরেই মহারাষ্ট্র সরকারের তরফে সলমনকে ওয়াই গ্রেড নিরাপত্তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ ছাড়াও সলমনের ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষীও রয়েছে। তবে সম্প্রতি এই হুমকি ইমেলের পর সলমনের নিরাপত্তা বাড়ান হয়েছে। এমনকি তাঁকে এই মুহূর্তে জনসংযোগ স্থাপনেও করা হয়েছে নিষেধ।