বলিউডের অন্যতম অভিনেতা ঋষি কাপুর প্রয়াত হয়েছেন ২০২০ সালের ৩০ এপ্রিল। মারণরোগ ক্যান্সারে দীর্ঘদিন ভোগার পর মৃত্যু হয়েছে তাঁর। বাবার মৃত্যু মাসেই বিয়ে করলেন রণবীর কাপুর। বিয়ে করলেন তাঁর ৫ বছরের প্রেমিকা অভিনেত্রী আলিয়া ভাটকে। মুম্বইয়ে কাপুরদের বাস্তুবাড়িতেই হল বিয়ের অনুষ্ঠান। গতকাল (১৪.০৪.২০২২) জুহুর এই বাড়িতেই ধুমধাম করে রাজকীয় বিয়ে দেখল গোটা দেশ। ঋষি কাপুরের স্বপ্নপূরণ হল এতদিন পর। বয়স হলে অনেক মানুষই পাল্টে যান। অনেক সম্পর্কেও নমনীয়তা আসে। কিন্তু শুরুতে এমনটা একেবারেই ছিল না। ঋষি কাপুরও এরকম একেবারেই ছিলেন না। শিশুবেলায় রণবীর বাবাকে তেমনভাবে পাননি। বাবাই ছিলেন তাঁর কাছে ভিলেন।
সাধারাণত, বাচ্চাদের কাছে বাবা হয় তাঁর প্রথম হিরো। কিন্তু রণবীরের কাছে তা ছিল না কোনওদিনও। বাবা ঋষি ছিলেন তাঁর জীবনের খলনায়ক। ঋষির সঙ্গে একেবারেই সম্পর্ক ভাল ছিল না রণবীরের। তিনি ছিলেন ছেলের শত্রু।
বলি অন্দরে কান পাতলে এখনও শোনা যায়, বাবার সঙ্গে সম্পর্ক ভাল ছিল না রণবীরের। ছোটবেলায় বাবাকে কাছে পাননি অভিনেতা। ঋষি কাপুর বাবা হিসেবে কোনওদিনও রণবীরকে সাপোর্ট করতেন না। নেশা করতেন ঋষি। তাঁর মেজাজও অত্যন্ত খারাপ ছিল। রণবীর যখন খুব ছোট, সে সময় ঋষির সঙ্গে একাধিক মহিলার সম্পর্ক ছিল। সে সবই কুপ্রভাব ফেলেছে রণবীরের বেড়ে ওঠায়। অল্প বয়সেই নেশার কবলে পড়েছিলেন রণবীর। সেই কু-পথ থেকে ঠিক রাস্তায় আনতে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়েছিলেন রণবীরের মা অভিনেত্রী নিতু কাপুর।
কিন্তু পরবর্তীকালে পরিস্থিতি পাল্টে যায়। ছেলের প্রতি প্রকাশ্য মমতা দেখাতে শুরু করেন ঋষি। একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেওছিলেন, “রণবীর খুব সরল। ওকে সবাই ঠকায়”। ঋষির প্রিয় পাত্রী ছিলেন আলিয়াও। ঋষিকে নিজের বাবার স্থান দিয়েছিলেন আলিয়া। নিজে দাঁড়িয়ে থেকে আলিয়া-রণবীরের বিয়ে দেবেন ঠিক করেছিলেন ঋষি। অনেক পরিকল্পনা ছিল তাঁর। প্রয়াত অভিনেতার শেষ অভিনীত ছবি ‘শর্মাজি নমকিন’-এর প্রচারও করেছিলেন রণবীর। সেখানেই বিয়ে নিয়ে আভাস দিয়েছিলেন রণবীর।
আরও পড়ুন: Poila Boishak: বাংলা দেওয়াল পঞ্জিকার সবচেয়ে বড় টান ছিল মা-জেঠিমাদের কাছে: শঙ্করলাল ভট্টাচার্য