এক বইপ্রকাশের অনুষ্ঠানে মায়ের সঙ্গে গিয়েছিলেন রণবীর কাপুর। হাতে মাইক নিয়ে সঞ্চালকের সঙ্গে বসেছিলেন কথা বলতেও। কিন্তু যা ঘটল তাঁর সঙ্গে তা হয়তো আশাও করতে পারেননি রণবীর। হাতে সাদা কাপে ছিল গরম কফি। কথা বলায় মগ্ন রণবীর আচমকা তা ঢেলে দেন নিজের প্যান্টেই। প্যান্ট পুরু হওয়ায় তা চামড়ার সংস্পর্শে আসেনি। তাই বড় বিপদ থেকে রক্ষা পেয়েছেন তিনি। যদিও ঘটনার পর সহানুভূতির বদলে রণবীরকে নিয়ে চলছে হাসাহাসি। প্যান্টের যে অংশে কফি পড়েছে তা নিয়েও চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। ইতিমধ্যেই বেরিয়ে গিয়েছে মিমও। তাতে লেখা, “রাহা মনে মনে বলছে, সম্পত্তির দুই ভাগ হবে না।” আর একজন আবার কমেন্টে লিখেছেন, “দেখে নেবেন দাদা, কিছু জ্বলে যায়নি তো?” এই মন্তব্যগুলিকেই আবার অসংবেদনশীল বলে মনে করেছেন রণবীর ভক্তরা। তাঁদের পাল্টা যুক্তি, “বড় বিপদ হতে পারত। তা থেকে রক্ষা পেয়েছেন রণবীর। সে নিয়েও মজা! এ কেমন মজা!” ভিডিয়োতেও দেখা গিয়েছে, কফি গায়ে পড়তেই খানিক অপ্রস্তুত হয়ে পড়েন রণবীরও। এরকমটা যে হতে পারে তা বোধহয় বুঝতেও পারেননি। কিন্তু ক্যামেরা চলছেই, সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলছে ট্রোলিংও।
এই মুহূর্তে তাঁর বিশাল দায়িত্ব। মেয়ে রাহার তিনিই ‘বার্পিং স্পেশ্যালিস্ট’। অর্থাৎ বাচ্চাকে খাওয়ানোর পর তাকে ঢেকুর তোলাতে হয়, সেই কাজটা বেশ ভালভাবেই করতে পারেন বলে জানিয়েছেন রণবীর। অন্যদিকে ডায়পার পরিবর্তন থেকে শুরু করে, রাহার যাবতীয় কাজ– দায়িত্ববান বাবার মতোই সামলাচ্ছেন বলে জানান তিনি। রণবীর বলিউডে পরিচিত অল ইন্ডিয়া রেডিও হিসেবে। অর্থাৎ তিনি নাকি সারাক্ষণ গসিপ করেন, এমন কিছু নেই যা তিনি জানেন না। সেটে সবাইকে নিয়ে থাকতে ভালবাসেন। সবার সঙ্গে মজাও করেন। পিছনে লাগা, সব কিছুই চলতে থাকে পুরোদমে। কিছু মাস আগেই ছবির প্রচারে কলকাতায় এসেছিলেন তিনি। সেখানেই রণবীরের দাবি, আলিয়াকেও ছেড়ে দেন না তিনি। ট্রোল করেন তাঁকেও। তিনি বলেন, “আমি নিজেই ট্রোল। আমি আমার বন্ধুদের নিয়ে মজা করি, আলিয়াকে যে কী ট্রোল করি তা বলে বোঝাতে পারব না।” নেটিজেনদের ট্রোলিং নিয়ে তাঁর মন্তব্য, “কিছু মন্তব্য সত্যিই খুব খারাপ থাকে। কিন্তু দিনের শেষে বিনোদন দেওয়াই আমাদের কাজ। যদি মনে হয় দর্শক আমাদের ভালবাসা দেবেন, যদি মনে হয় ভাল লাগছে না ইট ছুঁড়বে।”