২০২২ সালের ঘটনা। অভিনেতা রণবীর সিং নগ্ন ফটোশুটের জন্য চর্চার কেন্দ্রে জায়গা করে নিয়েছিলেন রাতারাতি। ‘গলি বয়’ বারবরই বোল্ড উপস্থিতিতে বিশ্বাসী। এহেন রণবীরের নগ্ন ছবি দেখে ভক্তরা খুব একটা অবাক না হলেও সমাজের বিভিন্নস্তরে তা নিয়ে দীর্ঘ সমালোচনা হয়। নগ্ন ফটোশুটে ১৯৭২ বার্ট রেনল্ডস প্রথম এই সাহসী পদক্ষেপ করেছিলেন। তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতেই রণবীরের এই শুট, বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছিল এমনটাই। তবে বিতর্কের জল গড়ায় আদালতের দরজা পর্যন্ত। এক জনপ্রিয় ম্যাগাজ়িনের জন্য এই ফটোশুট করেছিলেন তিনি। ছবি রাতারাতি শেয়ার করা হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়াতেও। তা নিয়েই শুরু হয়ে যায় তর্জা।
একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা (NGO)-র এক কর্মকর্তার করা অভিযোগের ভিত্তিতে ২০২২-এর জুলাই মুম্বইয়ে চেম্বুর থানায় রণবীরের বিরুদ্ধে একটি এফআইআর দায়ের করা হয়। চেম্বুর থানায় হাজিরাও দিতে হয়েছিল রণবীরকে। অভিনেতা জানিয়েছিলেন, তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই নগ্ন ছবিগুলি আপলোড করেননি। সেই সঙ্গে রণবীর আরও জানান, তিনি বুঝতে পারেননি যে, এই ফটোশুট তাঁর জন্য এতটা বড় সমস্যা তৈরি করবে। চেম্বুর থানায় দায়ের হওয়া ওই এফআইআরের ভিত্তিতেই চর্চা শুরু হয়েছে বিভিন্ন মহলে।
তবে তদন্তের স্বার্থে পুলিশকে রণবীর সবরকমভাবে সহযোগিতা করেছেন বলেই ইন্ডাস্ট্রি সূত্রে খবর। যদিও একটা সময় তিনি ছবির বিতর্ক প্রসঙ্গে মুখ খুললেও সম্প্রতি রণবীর বলেছেন সম্পূর্ণ উল্টো মত। প্রাথমিকভাবে অভিযোগের ভিত্তি নিয়ে সংশয় ছিল অভিনেতার মনে, আর এবার…
কী জানালেন রণবীর?
রণবীর সম্প্রতি যা দাবি করলেন, তাতে এই মমলা এক নয়া মোড় নিল। অভিনেতা ওই ছবিগুলির সত্যতা নিয়েই প্রশ্ন তুললেন এবার। তাঁর ছবিগুলি বিকৃত (morphed) করা হয়েছে বলে দাবি করলেন অভিনেতা।
যদিও ছবি ঘিরে যে তর্জা বিভিন্ন মহলে বর্তমান, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। শিল্পীর স্বাধীনতা এবং গোপনীয়তা নিয়ে যে সব প্রশ্ন বিভিন্ন মহলে উঠে এসেছে, তারও সঠিক ব্যখ্যা খোঁজা হচ্ছে।
বর্তমানে কোথায় দাঁড়িয়ে এই মামলা?
ভারতীয় দণ্ডবিধির (IPC) ২৯২, ২৯৩, ৫০৯ ধারা এবং IT Act-এর আওতায় রণবীরের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত তদন্তের কোনও কিনারা হয়নি বলেই সূত্রের খবর। তবে যতবার হাজিরার জন্য রণবীরকে তলব করা হয়েছে, ততবারই অভিনেতা সঠিক সময় হাজিরা দিয়ে পুলিশের সঙ্গে সহযোগিতা করেছেন। এখন দেখার এই মামলার জল কতদূর গড়ায়।