Rohit Shetty: কোন অতীতের কথা মনে করে প্রকাশ্যে কেঁদে ফেললেন রোহিত শেট্টি?
Rohit Shetty: পরিচালক এবং প্রযোজক রোহিতের সফল কেরিয়ারের খবর জানেন দর্শক। তাঁর আকাশচুম্বী সাফল্যের নেপথ্যে কিন্তু কঠিন স্ট্রাগলের জীবন রয়েছে।
জনপ্রিয় রিয়ালিটি শো ‘ডান্স দিওয়ানে’ এবং ‘খতড়ো কে খিলাড়ি’ দেখতে যাঁরা পছন্দ করেন, সেই দর্শকের জন্য সুখবর। চলতি সপ্তাহে এই দুই রিয়ালিটি শোয়ের মহাসংগ্রামের সাক্ষী থাকবেন তাঁরা। আর সেখানেই কেঁদে ফেললেন বলিউড পরিচালক, প্রযোজক তথা সঞ্চালক রোহিত শেট্টি। রোহিত এমনিতে নাকি বেশ মজার মানুষ। কাজে এবং কাজের বাইরেও মজা করতে ভালবাসেন তিনি। এ হেন রোহিত স্টান্টম্যানের জীবনের উপর তৈরি একটি পারফরম্যান্স দেখে ইমোশনাল হয়ে পড়েন। এর নেপথ্যে যথেষ্ট কারণও রয়েছে।
পরিচালক এবং প্রযোজক রোহিতের সফল কেরিয়ারের খবর জানেন দর্শক। তাঁর আকাশচুম্বী সাফল্যের নেপথ্যে কিন্তু কঠিন স্ট্রাগলের জীবন রয়েছে। অনেকেই হয়তো জানেন না, ইন্ডাস্ট্রিতে স্টান্ট ম্যান হিসেবে কেরিয়ার শুরু করেছিলেন রোহিত। প্রবল পরিশ্রমের জীবন ছিল তাঁর। সেখান থেকে ধীরে ধীরে সাফল্যের সিঁড়িতে উঠে পড়েন তিনি। কিন্তু অতীতের লড়াই আজও ভুলতে পারেন না তিনি। ভুলতে চানও না। অতীতের কঠিন লড়াই ছিল বলেই বর্তমানে তাঁর সাফল্য এসেছে, এমনটাই মনে করেন রোহিত। সে কারণেই কোনও প্রতিযোগী যখন স্টান্টম্যানের জীবনের উপর নিজেদের পারফরম্যান্স সাজায়, তা দেখে চোখেল জল ধরে রাখতে পারেননি রোহিত।
ওই শোয়ে রোহিত বলেন, “৩০ বছর হয়ে গেল এই কাজ করছি। অনেক ভাল সময়, খারাপ সময় দেখেছি। কিন্তু কাজ নিয়ে কখনও ভয় পাইনি। বরং উত্তেজনা থাকত। কাজের প্রতি সৎ থাকা খুব জরুরি। আমার অভিজ্ঞতা আমাকে এটাই শিখিয়েছে।”
View this post on Instagram
স্পষ্ট কথা স্পষ্টভাবে মুখের উপর বলে দিতে পছন্দ করেন তিনি। ঢেকেঢুকে কথা বলতে পারেন না মোটে। সম্প্রতি একটি চ্যাট শোতে অতিথি হিসেবে এসে তেমনই কিছু কথা বললেন পরিচালক রোহিত শেট্টি। শোতে এসে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা করেন রোহিত। কথা বলেন বিখ্যাতদের চ্যারিটি কাজ নিয়েও। তাঁদের রাস্তার ধারে, মন্দিরের বাইরে দানধ্যান করতে দেখা যায়। অসহায় মানুষের হাতে দানের সামগ্রী তুলে দিতে দেখা যায়। এই বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন রোহিত। বলেছেন, “ফোন করে জানালে তবেই না ফোটোগ্রাফার জানতে পারবেন, যে আজ অমুক মন্দিরের বাইরে রয়েছে তমুক সেলিব্রিটি। না হলে তাঁরাই বা জানবেন কীভাবে?” সরাসরি প্রশ্ন তুলেছেন, “কোনও মানুষ এরকম করতে পারেন?”
সেলিব্রিটিদের এয়ারপোর্ট লুক সবসময়ই চর্চায় থাকে। এই বিষয়টি নিয়ে রীতিমতো মশকরা করেন ‘সিংহাম’-এর পরিচালক। বলেন, “এটার তো আলাদা খরচ হয়ে গিয়েছে এখন। বহু মূল্যবান জামাকাপড়, অ্যাক্সেসরিজের পিছনে বাড়তি বিনিয়োগ। আমি প্লেন থেকে নামছি বা প্লেনে উঠছি, এই খবরটাও ফোটোগ্রাফারদের আগে থেকে জানিয়ে দেন সেলেবরা। ফোটোগ্রাফাররা সেখানে পৌঁছে যান। ছবি ওঠে ‘এয়ারপোর্ট লুক’-এর। না হলে তো সকলে চড্ডি-বানিয়ানেই যাতায়াত করতেন!” পরিচালকের বক্তব্য, এই অযাচিত বিষয়গুলি নিয়ে মানুষ একটু বেশিই আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছেন ইদানিং।
আরও পড়ুন, Raj Kundra: কোনও প্রমাণ ছাড়া ‘বলির পাঁঠা’ বানানো হচ্ছে, ফের জামিনের আবেদন রাজের