গত কয়েকদিন ধরেই খবরের শিরোনামে জায়গা করে নিয়েছেন সলমন খান। হত্যার হুমকি মেলার পর থেকেই সলমনকে নিরাপত্তা বলয়ে ঢেকে ফেলা। সদ্য লরেন্স বিষ্ণোইয়ের সাক্ষাৎকারে যে তথ্য উঠে আসে, তা দেখা মাত্রই ঘুম উড়েছে সকলের। যেখানে তিনি স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, সলমন খানকে ক্ষমা চাইতে হবে, নইলে বড় বিপদের মুখে পড়তে হবে অভিনেতাকে। এখানেই থেকে থাকা নয়, পাশাপাশি লরেন্স বিষ্ণোই ও তাঁর দলবলের তরফে একটি ইমেল করা হয়েছে সলমন খানকে। যেখানে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে, লরেন্সের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ক্যানাডার ধুরন্ধর দুষ্কৃতি গোল্ডি ব্রার সুপারস্টারের সঙ্গে কথা বলতে চায়। পঞ্জাবি গায়ক ও রাজনৈতিক নেতা সিধু মুসেওয়ালা খুনেও মূল চক্রী এই লরেন্স ও গোল্ডি।
এই ইমেল হিন্দিতে লেখা হয়। তাতে স্পষ্ট করে লেখা সম্প্রতি এক সংবাদমাধ্যমকে লরেন্স যে সাক্ষাৎকারে দিয়েছে তা যেন দেখেন সলমন। ওই সাক্ষাৎকারে সলমনকে প্রাণে মারার হুমকি দিতে দেখা তাকে। লরেন্স বলেছিলেনন, “যেদিন সলমনকে মারতে পারব, সেদিনই নিজেকে গ্যাংস্টার বলব। কিছু হিসেব মেটাতে হবে। কথা বলাস। মুখোমুখি কথা হবে। হাতে সময় আছে। মনে করিয়ে দিলাম। সময় পার হয়ে গেলে তখন শুধু ঝটকা দেব”।
এই ঘটনার ভিত্তিতে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০-বি, ৫০৬ ও ৩৪ নম্বর ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে ইতিমধ্যেই। তবে সলমন খান ও তাঁর পরিবারকেও আগামী কয়েকদিন সচেতন থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বাইরে অযথা বেরতে মানা করা হয়, পাশাপাশি সলমন খানকে কিছুদিন শুটিং বন্ধের নির্দেশও দেওয়া হয়। এবার সুরক্ষার কারণেই পুলিশের তরফ থেকে নির্দেশ দেওয়া হল সলমন খান যেন তাঁর বাড়ির সামনে ভক্তদের সঙ্গে দেখা না করেন।
সপ্তাহে একদিন গ্যালাক্সির সামনে সলমন ভক্তদের ভিড় জমে। কিন্তু আগামী কয়েকদিন সলমন খান ভক্তদের সঙ্গে দেখা করবেন না। বন্ধ হল ভাইজানের দরজা ভক্তদের জন্য। সুপারস্টারের নিরাপত্তায় মোতায়িত ৮ থেকে ১০ কনস্টেবল, সঙ্গে ২ অ্যাসিস্টেন্ট পুলিশ অফিসারও ২৪ ঘম্টার জন্য মোতায়িত। কড়া নজর রাখা হচ্ছে গ্যালাক্সি চত্বরে।