আবারও হুমকি ইমেল পাঠানো হল সলমন খানকে। নেপথ্যে আবারও সেই একই ব্যক্তি ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা। পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার অভিনেতার অফিসে লরেন্স বিষ্ণোই ও তাঁর দলবলের তরফে একটি ইমেল করা হয়েছে। তাতে লেখা, লরেন্সের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ক্যানাডার ধুরন্ধর দুষ্কৃতি গোল্ডি ব্রার সুপারস্টারের সঙ্গে কথা বলতে চায়। পঞ্জাবি গায়ক ও রাজনৈতিক নেতা সিধু মুসেওয়ালা খুনেও মূল চক্রী এই লরেন্স ও গোল্ডি। এই মুহূর্তে সিধু কাণ্ডে লরেন্সের ঠাই পঞ্জাব জেলে হলেও সেখান থেকেই এই সব কাজ সে চালিয়ে যাচ্ছে বলে খবর।
হিন্দিতে লেখা হয়েছে ইমেল। তাতে স্পষ্ট করে লেখা সাম্প্রতিক অতীতে সংবাদমাধ্যমকে লরেন্স যে সাক্ষাৎকারে দিয়েছে তা যেন দেখেন সলমন। ওই সাক্ষাৎকারে সলমনকে প্রাণে মারার হুমকি দিতে দেখা তাকে। সে বলেছেন, “যেদিন সলমনকে মারতে পারব, সেদিনই নিজেকে গ্যাংস্টার বলব”। এর পরেই এই ইমেল! ইমেলটির প্রেরক মোহিত গর্গ নামে এক ব্যক্তি। তাতে আরও লেখা, “কিছু হিসেব মেটাতে হবে। কথা বলাস। মুখোমুখি কথা হবে। হাতে সময় আছে। মনে করিয়ে দিলাম। সময় পার হয়ে গেলে তখন শুধু ঝটকা দেব”। গোটা ঘটনায় ইতিমধ্যেই ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০-বি, ৫০৬ ও ৩৪ নম্বর ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এরই পাশাপাশি বাড়ানো হয়েছে সলমনের নিরাপত্তাও। গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
লরেন্সের তরফে সলমনকে হুমকি দেওয়ার ঘটনা যদিও নতুন নয়। লরেন্স ঘনিষ্ঠ সম্পত নেহরা পুলিশের জালে বন্দি হন ২০১৮ সালে। সেখানেই জেরার মুখে অভিযুক্ত দাবি করেন সলমন খানকে হত্যার ছক কষেছিল তারা। আর এই গোটা পরিকল্পনার মূল ষড়যন্ত্রী ছিল লরেন্সই। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছিল কৃষ্ণসার হত্যার জন্যই সলমনকে সরিয়ে দিতে চেয়েছিল বিষ্ণোই গ্যাং। লরেন্স জাঠ। আর তাদের সম্প্রদায়ে কৃষ্ণসার পবিত্র। সেই কারণেই লরেন্সের আক্রোশ জন্মেছিল সুপারস্টারের উপর। যদিও সম্পত ধরা পড়ায় সে যাত্রায় ভেস্তে যায় প্ল্যান। ২০২১ সালে দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল লরেন্স বিষ্ণোই এবং তার গ্যাংয়ের গুন্ডাদের বিভিন্ন রাজ্য থেকে MCOCA মামলায় আদালতে নিয়ে যাওয়ার সময়েও যোধপুরে সলমনকে হত্যার হুমকি দিয়েছিল লরেন্স। আর এর পরেই মহারাষ্ট্র সরকারের তরফে সলমনকে ওয়াই গ্রেড নিরাপত্তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ ছাড়াও সলমনের ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষীও রয়েছে। তাঁর প্রধান নিরাপত্তারক্ষী হলেন গুরমীত সিং ওরফে শেরা।