
সলমন খান, কেরিযার জুড়ে যাঁর বিতর্কের অভাব নেই। নানান অভিযোগ একাধিকবার খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে তাঁকে কেন্দ্র করে। যার মধ্যে মৃতদেহ পুঁতে রাখার অভিযোগও ওঠে তাঁকে কেন্দ্র করে। এক প্রতিবেশী বিস্ফোরক মন্তব্য করে বসেন একবার সলমন খানের নামে। পানভেলের খামারবাড়িতে নাকি বলিউডে স্টারদের মৃতদেহ কবর দিয়ে রেখেছেন তিনি, এই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেন প্রতিবেশী কেতন কক্কড়। যদিও খবর কানে যেতেই নড়েচড়ে বসেন সলমন খান। তিনি পাল্টা অভিযোগ দায়ের করেন তাঁর নামে। যদিও সেই ভিডিয়ো সকলের হাতে হাতে ভাইরাল হয়ে যায়।
এক ইউটিউব চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কেতন এমনটাই দাবি করে বসেন। তাঁর অভিযোগ ছিল অর্পিতা ফার্ম হাউস যেখানে সলমন খান থাকেন, সেখানে এমন অনেক কাজ হয় যা আইন বিরুদ্ধ। বহু নাম না জানা সেলেবদের নাকি মেরে ফার্মহাউজের বাগানে পুঁতে রাখছেন নায়ক। লাইভ ল’য়ের এক রিপোর্ট জানাচ্ছে, এই ঘটনার পরেই সলমনের আইনজীবী প্রদীপ গান্ধী ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে সলমনের হয়ে আইনের দ্বারস্থ হয়েছেন। তিনি স্পষ্ট মানহানির মামলা দায়ের করে বসেন। যদিও প্রাথমিকভাবে জানা যায় তাঁর জমির কিছুটা অংশ নাকি নিজের দখলে নিয়ে নিয়েছেন সলমন খান। বহু বলার পরও তা নাকি তিনি ফেরত দিতে চাননি।
যদিও সলমন খানের আইনজীবী কেতনের সাক্ষাৎকারের সেই অংশবিশেষও আদালতে পেশ করা হয়েছে। প্রতীকের দাবি, সলমনের ধর্মীয় পরিচয় টেনে এনেই তাঁকে অসম্মান করতে চেয়েছেন ওই ব্যক্তি। এমনকি সলমন শিশু পাচার চক্রের সঙ্গে যুক্ত, এমনও মন্তব্য রেখেছেন কেতন, যার কোনও ভিত্তিয়ো নেই বলে দাবি প্রতীকের।
এ প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন ভাইজানও। তিনি বলেছিলেন, “কোনও প্রমাণ ছাড়াই এই সব অভিযোগ আদপে ওই ব্যক্তির কল্পনা। জমি সংক্রান্ত মামলায় জড়ানোর কারণেই আমার বিরুদ্ধে এ রকম অপমানজনক কথা বলেছেন তিনি। আমার ধর্মও টেনে আনা হচ্ছে। আমার মা একজন হিন্দু, আমার বাবা মুসলিম, আমার ভাইয়ের হিন্দু মেয়ে বিয়ে করেছেন। আমরা সব ধর্মের সব অনুষ্ঠান পালন করে থাকি।”