Sanjay Dutt: ‘বাবা পরিচালক ছিলেন বলেই রকিতে অভিনয় করা কঠিন ছিল’, বললেন সঞ্জয়

TV9 Bangla Digital | Edited By: স্বরলিপি ভট্টাচার্য

Sep 25, 2021 | 9:07 PM

Sanjay Dutt: সঞ্জয়ের কেরিয়ারের প্রথম ছবি ‘রকি’। আর সেখানেই বাবার সঙ্গে কাজ করার সুযোগ হয়েছিল তাঁর।

Sanjay Dutt: ‘বাবা পরিচালক ছিলেন বলেই রকিতে অভিনয় করা কঠিন ছিল’, বললেন সঞ্জয়
সঞ্জয় দত্ত এবং সুনীল দত্ত।

Follow Us

বাবা সুনীল দত্ত এবং মা নার্গিস। যাঁর বংশপরিচয় এমন, তাঁর তো অভিনয় রক্তে। তিনি অর্থাৎ অভিনেতা সঞ্জয় দত্ত। তিনি যে অভিনয় গুণে পারদর্শী তা অস্বীকার করেন না দর্শক। তবে দীর্ঘ কেরিয়ার যে বাবাকে ছাড়া সম্ভব হত না, তা বারবার স্বীকার করে নেন সঞ্জয়। সম্প্রতি একটি রিয়ালিটি শোয়ে অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে কেরিয়ারের শুরুর দিনের কথা, বাবার সঙ্গে কাজের স্মৃতি দর্শকের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন সঞ্জয়।

সঞ্জয়ের কেরিয়ারের প্রথম ছবি ‘রকি’। আর সেখানেই বাবার সঙ্গে কাজ করার সুযোগ হয়েছিল তাঁর। সে প্রসঙ্গে সঞ্জয় বলেন, “রকিতে কাজ করা অত্যন্ত কঠিন ছিল। আরও বেশি কঠিন ছিল, কারণ বাবা ছিলেন পরিচালক। আমাদের কোনও লাঞ্চ ব্রেকও থাকত না। বাবার সহকারী ফারুখ ভাই এসে আমাকে বলতেন, ‘আমাদের কোনও লাঞ্চ ব্রেক নেই। কিন্তু তুমি চাইলে কিছু খেয়ে নিতে পারো।’ বাবা শট রেডি করে ফারুখ ভাইকে আমার কথা জিজ্ঞেস করত। আমি হয়তো খাচ্ছি। বাবা রেগে যেত। তখনই আমাকে ডেকে পাঠাত। জানতে চাইত, ‘কে তোমাকে খেতে যেতে বলেছে? আমি তো কোনও লাঞ্চ ব্রেক দিইনি।’ বাবা সব সময় বলতেন, ‘নিজেকে সুনীল দত্তের ছেলে ভাববে না’।”

‘রকি’র সেটে বাবাকে নাকি ‘স্যার’ বলে ডাকতেন সঞ্জয়। ফারুখই এমনটা করতে শিখিয়েছিলেন তাঁকে। যখন বাবার কাছে বকুনি খেতেন, তখন কিন্তু ফারুখ বাঁচাতেন না। সঞ্জয় হাসতে হাসতে বলেন, “আমি খেতে গিয়েছি বলে বাবা যখন বকছেন, ফারুখ ভাই তখন বলত, ‘কে তোমাকে যেতে বলেছে? আজকালকার ছেলে-মেয়েরা কাউকে কিছু জিজ্ঞেস করে না। সব কাজ নিজেদের মর্জি মতো করে। সুনীল স্যারকে জিজ্ঞেস করা তোমার উচিত ছিল’। আমি তখন ভাবতাম, ‘আরে তুমিই তো খেতে পাঠালে’।”

৬ জুন, অভিনেতা সুনীল দত্তের জন্মদিন। বাবার জন্মদিন সঞ্জয় দত্তের জীবনেও বিশেষ একটি দিন। গত ৬ জুন সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে সুনীলের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন বলিউডের বহু শিল্পী। সঞ্জয় দত্ত, তাঁর বোন প্রিয়া দত্তও ব্যতিক্রম নন। সঞ্জয় বাবার সঙ্গে নিজের ছোটবেলার একটি ছবি শেয়ার করেছিলেন। যেখানে দেখা গিয়েছিল, সুনীল ধরে রয়েছেন সঞ্জয়ের হাত। সঞ্জয় লিখেছিলেন, ‘সব সময় এ ভাবেই আমাক হাত ধরে রয়েছ। ভালবাসি বাবা, শুভ জন্মদিন’।

২৫ মে, ২০০৫ প্রয়াত হন সুনীল। ২০০৩-এ মুক্তি পেয়েছিল ‘মুন্নাভাই এমবিবিএস’। সেটাই সুনীলের শেষ অভিনীত ছবি। সঞ্জয়ের জীবনের ধারাটাই যেন ঠিক করে দিয়েছিলেন সুনীল। ১৯৮১-তে নিজের পরিচালিত ‘রকি’ ছবিতে সঞ্জয়কে লঞ্চ করেছিলেন সুনীল। ধীরে ধীরে বাবার দেখানো পথেই বলিউডে নিজের জায়গা তৈরি করে নেন সঞ্জয়।

আরও পড়ুন, Rohan Bhattacharya: বাবাকে ছাড়া কখনও অঞ্জলি দিইনি, আর সে সব হবে না: রোহন ভট্টাচার্য

Next Article