৯ মার্চ হঠাৎই মৃত্যু হয় ৬৬ বছরের বলিউড অভিনেতা সতীশ কৌশিকের। রাত ১টায় গুরুগ্রাম থেকে এক পরিচিতের সঙ্গে দেখা করে ফেরার পথে গাড়িতেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তাঁর অকাল প্রয়াণে শোকস্তব্ধ গোটা বলিউড। ভেঙে পড়েছেন অনেকেই। তেমনই ভেঙে পড়েছেন সতীশের দীর্ঘদিনের বন্ধু পরিচালক রুমি জাফরি। বন্ধুর হঠাৎ চলে যাওয়া কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না রুমি। জানিয়েছেন, ভবিষ্য়তের জন্য অনেক কিছু পরিকল্পনা করে রেখেছিলেন সতীশ।
রুমি জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার (০৯.০৩.২০২৩) সকালেই তিনি সতীশের মৃত্যু সংবাদ পান। তৎক্ষণাৎ সব কাজ ফেলে রেখে সতীশের বাড়িতে ছুটে যান রুমি। পারিবারিক বন্ধু হিসেবে সতীশের স্ত্রী শশী এবং বনসিকার পাশে থাকাই ছিল তাঁর উদ্দেশ্য। তিনি বলেছেন, “আমার স্ত্রী বনসিকার খুবই আপন। ওকে জড়িয়ে ধরে বসেছিল। আমরা এখনও মানতেই পারছি না যে সতীশ আমাদের মাঝে আর নেই।”
পরিচালক এও জানিয়েছেন, সতীশের শরীরে কোনও সমস্যা ছিল না। তিনি সুস্থই ছিলেন। বেঁচে থাকারও খুব ইচ্ছা ছিল তাঁর। নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তাভাবনা করতেন সতীশ। অনেক কিছু করার পরিকল্পনা ছিল আগামীতে। কিছুদিন আগেই অনুপম খেরের জন্মদিনে একসঙ্গে ডিনার করেছিলেন তাঁরা। একেবারেই নাকি খালি হাতে বসে থাকতে পছন্দ করতেন না সতীশ।
রুমি বলেছেন, “আমি এবং সতীশ ৩০ বছরের বন্ধু। ওর এভাবে চলে যাওয়া একেবারেই ঠিক হচ্ছে না। আমার মনে হয়ে খুব একদিক-সেদিক চলে যেত সতীশ। ট্র্যাভেল করত। নিজের স্বাস্থ্যের খেয়ালও রাখত খুব। সময় মতো খাওয়াদাওয়া করত। সঠিক খাবার খেত। মর্নিং ওয়াকে যেত। অনেকদিন বাঁচতে চেয়েছিল সতীশ। মেয়েটাকে জীবনে প্রতিষ্ঠিত দেখতে চেয়েছিল।”
বৃহস্পতিবার ময়নাতদন্তের পর গুরুগ্রাম থেকে মুম্বইয়ে নিয়ে আসা হয় সতীশের পার্থিব শরীর। স্বপ্ননগরীর ভরসোভায় সন্ধ্যা ০৮.৩০টা নাগাদ শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় অভিনেতা-পরিচালকের। ইন্ডাস্ট্রির অনেকেই উপস্থিত ছিলেন সেই স্থানে।