‘পাঠান’ ছবি মুক্তির আগে থেকেই বক্স অফিস কালেকশন নিয়ে চর্চা তুঙ্গে। শাহরুখ খানের ছবি চার বছর পর পর্দায়। এখানেই শেষ নয়, রয়েছেন সলমন খানও। একযোগে অ্যাকশন ছবির আরও এক আকর্ষণ। দীপিকা পাড়ুকোনের উষ্ণ উপস্থাপনা সঙ্গে টানটান উত্তেজনায় ভরপুর শাহরুখ-জন আব্রাহমের ফাইট। সব মিলিয়ে পাঠান ঘিরে ভক্তমনে আশার পারদ ছিল তুঙ্গে। ছবি যে কেবল শাহরুখ খানের-ই নয়, পাশাপাশি বলিউড বক্স অফিসের ভাগ্য ফেরাতে, তা নিয়ে কোনও দ্বিমত ছিল না। তবে কোথাও গিয়ে যেন ছবি মুক্তির পর সেই উত্তেজনা দীর্ঘস্থায়ী হতে দেখা যাচ্ছে না। প্রথম দিন গোটা দেশ জুড়ে চলেছে পাঠান উৎসব। দিকে-দিকে কিং খানের ভক্তদের সেলিব্রেশনের ছবি যেভাবে সামনে উঠে আসছিল, তা এক কথায় বলতে গেলে ছবির ভবিষ্যতকে আরও উজ্জ্বল করার ইঙ্গিতই দিয়েছিল।
তবে লাভের লাভ কি আদৌ হল? এতো আয়োজন, তবে বাজার ঠিক কতদিন ধরে রাখতে পারবে ‘পাঠান’? দু’রাত পার হতে না হতেই প্রশ্ন সিনে-বিশেষজ্ঞদের মনে। পাঠান ছবি মুক্তি পেয়েছে মোট ১০০টি দেশের প্রেক্ষাগৃহে। প্রথম দিনেই বক্স অফিসে রেকর্ড আয়। দু’দিনেই ১২৫ কোটি টাকা পকেটে আসে পাঠান-এর। তবে শুক্রবারই পারদ পতন সব উত্তেজনার। প্রজাতন্ত্র দিবসে সাধারণত ছবি মুক্তি পেলে তা হিট হওয়ার রেকর্ড রয়েছে। তবে সিনেপাড়ায় কোথাও গিয়ে যেন সেই রেকর্ড ধরে রাখতে পারছে না পাঠান! তৃতীয় দিনের আয়ের অঙ্কই দিল ইঙ্গিত।
প্রথম দুই দিনে ৫০ কোটি টাকা করে আয় করলেও, তৃতীয় দিনে ছবির দখলে এলো ৩৫ থেকে ৩৬ কোটি টাকা। যদিও শনিবার ও রবিবার নিয়ে আশাবাদী অনেকেই। তবে প্রথম সপ্তাহের শেষে কেজিএফ ২ (শুক্রবার, শনিবার ও রবিবার) আয় করেছিল মোট ১৪০ টাকা। সেই তুলনায় রেকর্ড ধরে রাখল পাঠান। প্রথম তিনদিনে পাঠান-এর আয় প্রায় ১৫৯ কোটি টাকা। চতুর্থদিনে অর্থাৎ শনিবারই ছবি ২০০ কোটির ক্লাবে জায়গা করে নেবে বলেই আশা করা যায়।