জনপ্রিয় অভিনেত্রী পদ্মিনী কোলহাপুরের বোন শিবাঙ্গী কোলহাপুরেকে বিয়ে করেছিলেন শক্তি কাপুর। বাবা-মা মেনে নেননি। কিন্তু ভালবাসার টান কি আর এড়ানো যায়? সব বাধা বিপত্তি এড়িয়ে ৪০ বছরের বিবাহিত জীবন তাঁদের। তবে জানেন কি, প্রেমের টানে নিজের ঝকঝকে বলিউডি কেরিয়ারকেই বিসর্জন দিয়ে দেন শিবাঙ্গী! কারণ একটাই, ‘শক্তি গৃহবধূ চেয়েছিলেন’। অভিনেতা জানিয়েছেন, শিবাঙ্গীর সঙ্গে তাঁর শিশুশিল্পী হিসেবেই আলাপ হয়েছিল। শক্তির থেকে ১২ বছরের ছোট ছিলেন তাঁর স্ত্রী। ফ্যান হিসেবেই শক্তির সঙ্গে প্রথম দেখা করেন শিবাঙ্গী। যদিও এর পরেই বদলে যায় যাবতীয় হিসেবনিকেশ। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এ নিয়েই মুখ খুলেছেন শক্তি।
তিনি বলেন, “আমাদের দেখা হয়, আমাদের প্রেম হয়। আমি বুঝে যাই এত সুন্দরী আর ঘরোয়া মেয়ে আমি আর পাব না।” শক্তি কাপুর জানান, শিবাঙ্গীর প্রেমে এতটাই ডুবে যেতে শুরু করেন তিনি, এক সময় মনে হতে থাকে কাজ করতে পারছেন না আর। কাজে মনও লাগছিল না কিছুতেই। কেরিয়ারে প্রভাব পড়ছে প্রেমের এই আশঙ্কা নিয়ে শিবাঙ্গীর কাছেও যান তিনি। রেগে যান শিবাঙ্গী।
শক্তি কাপুরের কথায়, “মানুষজন ওকে ছবির অফার দিতে শুরু করে। ও রেগে গিয়ে সাওন কুমারের ‘লায়লা’ ছবিতে সই করে নেয়। আমার হাল খারাপ হয়ে যায়। ওঁর জীবন আমিই যে একমাত্র মজনু ছিলাম।” শক্তি জানান, এর পরেই ফের শিবাঙ্গীর সঙ্গে দেখা করেন তিনি। তাঁর কথায়, “ওঁকে অনুরোধ করতে থাকি, দয়া করে কাজ করো না। তোমায় আমি গৃহবধূ হিসেবেই পেতে চাই।” এর পরেই আইনি বিয়ে সেরে ফেলেন তাঁরা। শক্তিকে বিয়ে করায় বহুদিন পর্যন্ত বাবা-মা মেনে নেননি শিবাঙ্গীকে। ছেলে হওয়ার পর সবটা স্বাভাবিক হয়। শক্তির বক্তব্য, “আমার জন্য কেরিয়ার ছেড়েছে ও। ওর সামনে হাত জোর করি। আমার কেরিয়ারের শীর্ষে ওকে বিয়ে করি। ও আমার জন্য ভাগ্য নিয়ে এসেছে।” তাঁদের সন্তান শ্রদ্ধাও একজন সফল অভিনেত্রী। সব মিলিয়ে সুখের সংসার তাঁদের।