স্মৃতি ইরানি, টিভির দুনিয়ায় জনপ্রিয় এই স্টার সম্প্রতি নীলেশ মিশ্রার শোয়ে এসে এ কী বললেন! ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হয় সেই খবর। কখন স্মৃতি দুই ধারাবাহিকে একসঙ্গে কাজ করছেন। এক একতা কাপুরের কিঁউ কি সাস ভি কাভি বহু থি আর দুই রামায়ণ। এমনই সময় তাঁর গর্ভপাত হয়। তবে কঠিন সময় দুই ধারাবাহিক থেকে দুই ধরনের ব্যবহার পেয়েছিলেন তিনি। যেখানে সীতাই মূল চরিত্র, সেখানে যদি স্মৃতিতে আসার জন্য বাধ্য করা হতো, স্মৃতির কথায়, সেটা স্বাভাবিক। তবে কিঁউ কি-তে ৫০ জন অভিনেতা। সেখানে তিনি না আসলে কি সত্যি কোনও সমস্যা হতো! আজও সেই প্রশ্ন অভিনেত্রীর মনে। সম্প্রতি নীলেশ মিশ্রাকে সেই কঠিন সময়ের কাহিনিই শোনালেন স্মৃতি।
স্মৃতি ইরানি বলেছিলেন, ”আমি জানতামই না আমি অন্তঃসত্ত্বা, আমি সেটেই ছিলাম (কিঁউ কি সাস ভি কভি বহু থি)। আমি তাঁদের জানিয়েছিলাম আমি ভাল নেই। আমি শুটিং করতে পারব না আমায় বাড়ি যেতে দেওয়া হোক। তারপরও আমি কাজ চালিয়ে যাই। যখন তাঁরা আমায় ছেড়েছিল, তখন সন্ধ্যে হয়ে গিয়েছে। ডাক্তার উপদেশ দিয়েছিলেন, আমি যেন আলট্রা সোনোগ্রাফি করি। ফেরার পথে আমার রক্তপাৎ শুরু হয়ে যায়। আমার স্পষ্ট মনে আছে, তখন বৃষ্টি হচ্ছিল। আমি একটা অটো দাঁড় করিয়ে বলেছিলাম, আমায় হাসপাতালে নিয়ে যেতে। এরপর আমি হাসপাতালে পৌঁছাই। একজন নার্স এসে আমার থেকে অটোগ্রাফ চাইছিল। ওই অবস্থায় আমি অটোগ্রাফ দিয়েছিলাম। আর বলেছিলাম ভর্তি করিয়ে নিন, আমার মনে হয় গর্ভপাত হয়েছে।”
এই অবস্থায় স্মৃতি পরের দিন শুটিং-এ আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। বলেন, ”আমি জানাই, আমি আসতে পারব না, আমায় বলা হয়, কোনও অসুবিধে নেই গুপুর ২টোয় চলে আসুন। এই কথা তিনি রভি চোপড়াকেও জানিয়েছিলেন। বলেছিলেন, আমি কি ৭টার বদলে ৮টায় আসতে পারি? আমার ছুটি হবে হাসপাতাল থেকে। তারপর আমি বাড়ি ফিরব। আসতে একটু সময় লাগবে। রবি চোপড়া জানিয়েছিলেন, তোমার কি মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে, তোমার সন্তান নষ্ট হয়েছে, তার কষ্টটা তুমি বোঝো না! আমি উল্টে জানিয়েছিলাম, সীতার চরিত্র খুব গুরুত্বপূর্ণ, এরপর রবিবার আসছে, আমায় আসতে হবে। রবি চোপড়া বলেছিলেন, বিশ্রাম নাও, আমি সামলে নেব। আমি এও জানাই যে আমায় কিউকি ধারাবাহিকের সেটে যেতে হবে। তিনি বলেছিলেন, কে কী করবে, আমার জানার দরকার নেই। তবে আমার এখানে আসতে হবে না। আমার সিফটে বিশ্রাম নিয়ে নিও।”
পরের দিন স্মৃতি লক্ষ্য করেন, প্রযোজককে একতা কাপুর বলছেন, ”গর্ভপাত হয়নি, এসব মিথ্যে। এরপর স্মৃতি বলে চলেন, কেউ বুঝল না, যে চাকার জন্যই আমি এতটা পরিশ্রম করছি, ঝুঁকি নিচ্ছি। কারণ আমায় বাড়ির লোন শোধ করতে হয়।”