বরাবরই বলিউড অভিনেত্রী সোহা আলি খানের চিন্তা ভাবনা আর পাঁচজনের থেকে কিছুটা আলাদা। শিক্ষা, পারিবারিক ঐতিহ্য থেকে যে শিক্ষা তিনি পেয়েছেন, তা শেখাতে চান তাঁর মেয়ে ইনায়াকেও। প্রতিটি দিনই তার প্রয়াস চলে। রাখি উৎসবের দিনও তার ব্যতিক্রম হল না।
রবিবার রাখির দিন সোহা ইনস্টাগ্রামে ইনায়ার কিছু ছবি পোস্ট করেছেন। যেখানে দেখা যাচ্ছে, বাড়িতে যাঁরা গৃহকর্মে সহায়তা করেন এবং পোষ্য কুকুরকে রাখি পরাচ্ছে ইনায়া। সোহা ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘আমাদের সুরক্ষার জন্য যারা কিছু কিছু দায়িত্ব পালন করে, আজ তাদের সকলকে জানাই শুভ রাখি বন্ধন।’ রাখি যে শুধুমাত্র ভাই-বোনের বন্ধন নয়। বরং সকলকে নিয়ে বেঁধে থাকার উৎসব, ছোট থেকেই এই শিক্ষা মেয়েকে দিলেন সোহা। তাঁর এই ভাবনায় মুগ্ধ অনুরাগীরা।
দুই ছেলে তৈমুর এবং জেহকে নিয়ে এই মুহূর্তে মালদ্বীপে ছুটি কাটাচ্ছেন সইফ এবং করিনা। সে কারণে সোহারও সইফকে রাখি পরানো হয়নি। আবার তৈমুর এবং জেহকেও রাখি পরাতে পারেনি ইনায়া। কিন্তু তাতে মন খারাপের কোনও কারণ নেই। বরং বাকি সকলের সঙ্গে যাতে একই রকম আত্মিক বন্ধন সে ছোট থেকেই অনুভব করে, মেয়েকে সে শিক্ষাই দিলেন অভিনেত্রী।
বলি ইন্ডাস্ট্রিতে স্টার কিডদের তালিকায় ইনায়া প্রথম সারিতে। সোশ্যাল মিডিয়াতেও জনপ্রিয় সে। মামাতো দাদা তৈমুরের সঙ্গে ইনায়ার বিভিন্ন মুহূর্তের ছবিও সোশ্যাল অডিয়েন্স পছন্দ করেন। একরত্তি ইনায়াকে কী ভাবে এই সময়টা বাড়িতে সামলাচ্ছেন, তার বিভিন্ন ছবি বা ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন সোহা। কখনও পোষ্যর সঙ্গে খেলছে মেয়ে। কখনও রুটি করছে। কখনও বাবার সঙ্গে বসে ছবি আঁকছে। দিনভর মেয়েকে সঙ্গ দেন তিনি। তাঁর পরামর্শ বাড়িতে থেকে বাবা-মায়েরা হতাশ না খেয়ে সন্তানদের সময় দিন। তাতেই মানসিক ভাবে ওদের ভাল রাখা সম্ভব।
জেহর জন্মের পর চতুর্থবারের জন্য পিসি হয়েছেন সোহা। এর আগে সইফ-অমৃতার দুই সন্তান সারা এবং ইব্রাহিম তাঁর আদরের। আর সইফ-করিনার প্রথম সন্তান তৈমুর তাঁর মেয়ে ইনায়ার সঙ্গেই প্রায় বড় হচ্ছে। ফলে সোহার কাছে তৈমুর কিছুটা স্পেশ্যাল। জেহ প্রসঙ্গে সোহা বলেন, “পরিবারে কোনও শিশুর আগমন সব সময়ই আনন্দের। প্রথম বছর যেহেতু সবই নতুন তার কাছে, অনেক কান্ড হয়। ফলে সেটা সামনে থেকে দেখা সব সময়ই আনন্দের।”
২০১৭-এ ইনায়ার জন্ম। ২০১৬-এর ডিসেম্বরে তৈমুর জন্মেছে। সোহা জানিয়েছেন, তিনি সন্তানসম্ভবা থাকাকালীন করিনা নাকি সবথেকে বেশি সাহায্য করেছিলেন। সব সময় তাঁর খেয়াল রাখতেন। “আমাদের গল্পের বিষয় ছিল, ঘুম কমে যাওয়া, শারীরিক পরিবর্তন এ সব নিয়েই। করিনা আমার খুব খেয়াল রাখত, যত্ন করত”, বলেন সোহা।
আরও পড়ুন, দাদা এবং দাদুদের রাখি পরাল কিয়া, মেয়েকে ছোট থেকেই শেখাচ্ছেন কনীনিকা