
জিয়া খান আত্মহত্যা মামলায় নাম জড়িয়েছিল ২০১৩ সালে। তবে থেকেই লাইম লাইটে আর থাকা হয়নি সূরজ পাঞ্চোলির। কখনও খুনের দায়, কখনও আবার আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার কারণে বারে বারে আদালতের দরজায় পৌঁছতে হয়েছে তাঁকে। টানা ১০ বছর ধরে চলতে থাকা জিয়া খান আত্মহত্যা মামলায় ইতি টানল সিবিআই আদাতল। বেকসুর খালাস করা হয় সূরজ পাঞ্চোলিকে। ২৮ এপ্রিল সকাল ১০.৩০ মিনিটে জিয়া খান মামলার চূড়ান্ত রায় দেওয়া শুরু হয়। ২৭ এপ্রিল থেকেই সকলে মুখিয়ে ছিলেন কী হয় অভিনেতা আদিত্য পাঞ্চোলি ও অভিনেত্রী জ়ারিনা ওয়াহাবের ছেলে সূরজ পাঞ্চোলির।
কী রয়েছে সূরজের কপালে? প্রয়াত অভিনেত্রীর পরিবারের অভিযোগই কি হবে সত্যি? ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৬ নম্বর ধারায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলা রুজু হয় সূরজের বিরুদ্ধে। দীর্ঘ ১০ বছরের মামলার পর সিবিআই-এর বিশেষ আদালত সাফ জানিয়ে দিল, ‘কোনও প্ররোচনা দেওয়া হয়নি’। এরপরই স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেন সূরজ। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেন ছাড়া পাওয়ার পরই।
লেখেন, ‘সত্যেরই জয় হয় সবসময়’। একথা লেখা শেষ করে সূরজ দিয়েছেন একটি বিস্ময়বোধক চিহ্ন (!)। এই চিহ্ন কি বহন করছে কোনও আলাদা অর্থ? বেকসুর খালাস হওয়ার ঘটনায় যাঁরা বিস্ময় প্রকাশ করলেন, প্রকারান্তরে তাঁদেরই কি ইঙ্গিত করতে চাইলেন সূরজ? তার উত্তর আপাতত অজানাই রইল। এরপরই মুখ খুলতে দেখা যায় সূরজকে। প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি, তাঁকে তাঁর ১০ বছর কে ফিরিয়ে দেবে?
দেরীতে হলেও ছাড় পেয়ে বেজায় খুশি তিনি ও তাঁর পরিবার। সূরজকে দেখা গেল সিদ্ধিবিনায়ক মন্দিরে পূজো দিতে। মন্দিরের সামনে দাঁড়িয়ে দিলেন পোজ়ও। ভক্তদের সঙ্গে তুলে নিলেন সেলফি। মুখে স্বস্তির হাসি। মুহূর্তে ভাইরাল এই ভিডিয়ো। যদিও কমেন্ট বক্সে মিশ্র প্রতিক্রিয়া বর্তমান।