একসময় পাপারাজ্জির প্রিয় পাত্র ছিল সে। কিন্তু বয়স যত বাড়ছে সইফ-করিনার প্রথম সন্তান তৈমুর আলি খানের ব্যবহারে কার্যত বিরক্ত নেটপাড়া। তাকে নিয়ে ট্রোলও হয়েছে বিস্তর। আরও একবার ট্রোলের মুখে তৈমুর। কাঠগড়ায় তার ব্যবহার। বাবার সামনেই এ হেন আচরণে কার্যত ধিক্কার জানাল নেটিজেনদের একটা বড় অংশ। ঠিক কী হয়েছে?
‘রোলিং স্টোন’-এর কনসার্টে কিছু দিন আগেই লন্ডনে উড়ে গিয়েছেন সইফ আলি খান ও তাঁর পরিবার। সেখানে অনুষ্ঠান উপভোগ করে লন্ডন উপভোগ করছিলেন তাঁরা। তাঁদের এই চটজলদি ট্রিপের বেশ কিছু ছবি এই মুহূর্তে নেটদুনিয়ায় ভাইরাল। সেই ছবিতেই দেখা যাচ্ছে, প্রতিটি ছবিতেই ভীষণ বিরক্ত তৈমুর। কখনও নাক টিপে আবার কখনও ক্যামেরার দিকে না তাকিয়ে সেই বিরক্তি প্রকাশ করেছে সে। আর তাতেই সে হয়েছে ট্রোল্ড। বাবা-মায়ের মুখে হাসি থাকলেও কেন তৈমুরের আচরণ এহেন সে নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন নেটিজেনদের একটা বড় অংশ। আগেও বহুবার ট্রোল্ড হয়েছে তৈমুর।
মাস খানেক আগে এক অদ্ভুত কারণে ট্রোল্ড হয় সে। ঘটনাটি ছিল খানিক এরকম– মা করিনা ও পরিচারিকার সঙ্গে বাড়ির নিচে দাঁড়িয়ে ছিল তৈমুর। ভাই জেহ খেলা করছিল গাড়িতে চেপে। আচমকাই পাপারাজ্জিদের দেখে চিৎকার করে ছবি তোলা বন্ধ করার আর্জি জানাতে থাকে সে। কিন্তু যে ভাবে বলেছে তা পছন্দ হয়নি নেটিজেনদের। তাঁদের অনেকেই মনে করেছিলেন, তৈমুর নাকি বলেছে, ‘বন্ধ কর শা*। বন্ধ কর’। যদিও পরে জানা যায়, নেটিজেনদের এমনটা মনে হলেও তৈমুর আদপে গালিগালাজ করেননি। সে বলেছে, “বন্ধ করো দাদা, বন্ধ করো দাদা”। বাঙালিদের মতো মরাঠিদের মধ্যেও দাদা বলার চল রয়েছে। সে কারণেই ‘দাদা’ শব্দের প্রয়োগ করেছে তৈমুর যা শুনতে লেগেছিল অমন– এমনটাই সাফাই দিয়েছিলে করিনা ভক্তরা। আবারও ট্রোল্ড হল সে। স্টারকিড হওয়ার বিড়ম্বনা কি একেই বলে?
এই দুই ছবি নিয়েই যত আলোচনা।