হায়দরাবাদে চলছিল ‘দা কাশ্মীর ফাইলস’-এর পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রীর পরবর্তী ছবি ‘দ ভ্যাকসিন ওয়ার’-এর শুটিং। করোনা প্যান্ডেমিকে চিকিৎসা ব্যবস্থা এবং বিজ্ঞানীদের নিয়ে এই ছবি তৈরি করছেন বিবেক। এবং তাঁর প্রতি ছবির মতো এই ছবিতেও গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করছেন তাঁর স্ত্রী অভিনেত্রী পল্লবী যোশী। ছবির শুটিং চলাকালীন গুরুতর আঘাত লেগেছে পল্লবীর৷ তিনি আহত হয়েছেন শুটিং সেটেই। ঘটনাস্থলে একটি গাড়ি নিয়ন্ত্রম হারিয়ে ফেলে এবং সরাসরি এসে ধাক্কা মারে পল্লবীকে। পল্লবীর শুটিং শেষ হয়ে গিয়েছিল সেই সময়। তাঁকে তড়িঘড়ি নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় হাসপাতালে।
এই মুহূর্তে কেমন আছেন পল্লবী?
স্বস্তির কথা এটাই যে, পল্লবীর খুব একটা গুরুতর চোট লাগেনি। এবং হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, তিনি সুস্থই আছেন।
পল্লবীর আঘাত লাগার পর টুইটারে একটি রহস্যজনক পোস্ট করেছেন বিবেক অগ্নিহোত্রী। তিনি লিখেছেন, জীবন একটি এবং সেখানে হাই স্পিডেই চলতে হয়। সেখানে হেভি ট্রাফিক থাকে। মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালান সারথীরাও। তাই নিজেকে রক্ষা করাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ। না হলে এ রকম ধরনের ঘটনা ঘটতেই থাকবে। এবং সেখান থেকে না ফেরার প্রবণতাও তৈরি হবে। শেষে তিনি লিখেছেন, যাঁরা অ্যাক্সিডেন্ট থেকে বেঁচে ফেরেন, তাঁরাই উঠে দাঁড়ান এবং আবার দৌড়তে থাকেন। নিজের গন্তব্যে পৌঁছেও যান তাঁরা।
২০২২ সালে মুক্তি পেয়েছিল বিবেক অগ্নিহোত্রী পরিচালিত বহু প্রতীক্ষিত ছবি ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’। ১৯৯০ সালে জম্মু এবং কাশ্মীরের মাটিতে হিন্দু কাশ্মীরি পণ্ডিতদের উপর ঘটে যাওয়া নির্মম কাহিনি ছিল সেই ছবির উপজীব্য। ছবি মুক্তির পর সেটিকে প্রোপাগ্যান্ডা ফিল্ম হিসেবে দাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। ছবি মুক্তির আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে হুমকি দেওয়া হয় বিবেক অগ্নিহোত্রীকে। তারপর ভারতবর্ষে মুক্তির আগে পরিচালককে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও নাকি দেওয়া হয়েছিল। তেমনটাই দাবি করেছিলেন পরিচালক। অস্কার মনোনয়নের দৌড়ে সেই ছবি স্থান পেয়েছে ৩০১টি ছবির মধ্যে। ২৪ জানুয়ারি জানা যাবে, সত্যি-সত্যি ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ মনোনয়ন পেল কি না। মাত্র ১৫ কোটি টাকায় তৈরি ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’-এর ব্যবসা ছাড়িয়েছিল ২০০ কোটি টাকা। ২০২২ সালের অন্যতম সফল ছবি হয়েছিল ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’।
সুতরাং, বিবেক অগ্নিহোত্রীর পরবর্তী ছবি ‘দ্য ভ্যাকসিন ওয়ার’ নিয়ে এখন থেকেই উৎকণ্ঠায় দর্শক। ছবিতে সবসময়ই সত্যি ঘটনা তুলে ধরার চেষ্টা করেন বিবেক। করোনার সময় ভ্যাকসিন নিয়ে যা-যা ঘটনা ঘটে দেশে, তা এই ছবিতে তুলে ধরতে চান পরিচালক। গবেষণার জন্য প্রথমেই তিনি দেখা করেন ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চ এবং ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজির বিজ্ঞানীদের সঙ্গে। মূলত তাঁদের লড়াইকেই পরিচালক তুলে ধরতে চাইছেন তাঁর এই ছবিতে।