৮০ এবং ৯০-এর দশকে তারকারা নিজেদের নিজেরাই সাজাতেন। সেই সময় ড্রেস ডিজ়াইনার, হেয়ার ড্রেসারদের চল ছিল না ততটাও। এমনকী, কোরিওগ্রাফার পেশাটিরও জন্ম হয়নি। তারকারা নিজেরাই নিজেদের পোশাক নির্বাচন করতেন, চুলের স্টাইল করতেন নিজেরাই। নাচের স্টেপও নিজেরাই নির্ধারণ করতেন। তেমনই একটি সময়ে জন্ম হয় ‘তারকা’ ঋষি কাপুরের। ‘ববি’ মুক্তি পেয়েছে। ‘চকোলেট বয়’ ভাবমূর্তি তৈরি হয়েছে কাপুর পরিবারের এই ‘রাজ’পুত্রের। ‘জেহরিলা ইনসান’ ছবির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন রণবীর কাপুরের পিতা। এবং সেই ছবির শুটিংয়েই ঘটে যায় এক বিরল ঘটনা। যা জীবনের শেষদিন পর্যন্ত চিন্তা করে অট্টহাসিতে লুটিয়ে পড়েছিলেন অভিনেতা।
ছবিতে এক জনপ্রিয় গানের শুটিংয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন ঋষি। ‘ও হনসিনী’ গানটির সঙ্গে পরার জন্য একটি কালো রঙের প্যান্ট খুব পছন্দ হয়েছিল তাঁর। সেই সময় বেলবটসমের খুব চল তৈরি হয়েছিল। থাইয়ের কাছে চাপা এবং নীচটা ছড়ানো–সেরকমই একটি ট্রাউজ়ার কিনে পরে ফেলেন ঋষি। শুটিংয়ে সেটি পরার সময়ই বুঝে যান কী গোলমাল করেছেন।
ঋষি অকপট স্বীকার করে নিয়েছিলেন যে, “বেরুট থেকে একটা কালো রঙের সুন্দর দেখতে ট্রাউজ়ার কিনেছিলাম আমি ‘জ়েহরিলা ইনসান’ ছবির ‘ও হনসিনী’ গানের সঙ্গে পরব বলে। সেসময় নিজের শুটিংয়ের পোশাক নিজেই কিনতে যেতাম আমি। সেটাই ছিল আমার অভ্যাস। দুর্দান্ত সুন্দর ট্রাউজ়ারটির প্রেমে পরে সেটি কিনে ফেলি। তারপর যা হল…”। বলতে-বলতে হাসিতে লুটিয়ে পড়েছিলেন ঋষি, “শুটিংয়ের সময় প্যান্টটি পরতেই বুঝে যাই আমি আসলে মেয়েদের ট্রাউজ়ার কিনে ফেলেছিলাম। ছেলেদের প্যান্টের চেন (জ়িপ) মাঝখানে থাকে। কিন্তু এই ট্রাউজ়ারের চেন ছিল পাশে। কত বছর আগের ঘটনা। ভাবলেই পেটের মধ্যে গুড়গুড়ি হয়…”