বিদ্যা বালন, বরাবরই যিনি, বডি শেমিং-এর শিকার। শৈশব থেকেই স্থুল চেহারা নিয়ে হীনমন্যতায় ভুগতেন বিদ্যা। বারবার ভাবতেন তাঁকে কেন এমন দেখতে? অনেকের কাছে কটাক্ষের শিকারও হতে হতো তাঁকে। অভিনেত্রী হওয়ার মতো ফিগার তাঁর নেই, বারবার এ কথা শুনতেও হয়েছে তাঁকে। যদিও একটা সময় পর তা তিনি চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করেন। স্থির করেন ফিগার জোরে নয়, অভিনয় গুণে জায়গা করে নেবেন দর্শকের মনে। বর্তমানে বিদ্যা বালানকে এগুলো আর ভাবায় না। তাঁর কথায় শরীরের আকার যেমন হোক, সুস্থ থাকাটা জরুরী। তবে একটা সময় তা নিজেই বুঝতে পারতে না বিদ্যা।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ”ছোটবেলায় আমিও যে স্লিম হতে চাইতাম না, বার্বির মতো দেখতে হতে চাইতাম না, একথা বলছি না। তবে একটা সময় আমার মায়ের উপর ভীষণ রাগ হত, কেন আমাকে এত নিয়ম মেনে চলতে হয়? কেন এত তাড়াতাড়ি আমাকে ডাইটের মধ্যে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে? এ প্রশ্নগুলোর উত্তর আমি খুঁজে পেতাম না। পরবর্তীতে বুঝতে পারি আসলে মাও এই বিষয়গুলো নিয়ে চিন্তিত ছিলেন। আমার মত তাঁকেও একই ভাবে কথা শুনতে হত। সেই মুহূর্তে আমি না জেনেই মায়ের উপর রাগ দেখিয়ে গিয়েছি।”
তবে আজ সেসব ঝেরে ফেলে বিদ্যা বালেন অন্যান্যদের কাছে অনুপ্রেরণা। স্লিম টল ফিগার ছাড়াও যে বলিউডের দাপটের সঙ্গে রাজত্ব করা যায় তা তিনি প্রমাণ করে দিয়েছেন বহুদিন আগেই। না, কোনও নায়কের কাঁধে ভর করে নয়, তিনি একাই একশ। কোনও ছবিতে বিদ্যা বালনের উপস্থিতি মানে ছবি সিংহভাগ দায়িত্ব তিনি কাধে তুলে নেন। অভিনেতার পাশেও তিনি কড়া টক্কর দিতে থাকেন প্রস্তুত। সম্প্রতি শৈশবের স্ট্রাগল নিয়ে মুখ খোলেন তিনি, ছোট থেকে তাঁকে যে চিন্তা যে ভাবনা তাড়িয়ে নিয়ে বেড়াত আজ তিনি তা ঝেড়ে ফেলে দিয়েছেন বলেই বারবার দাবি করেন।