
প্রিয়াঙ্কা চোপড়া ও শাহিদ কাপুরের মধ্যে সম্পর্কের সমীকরণ বরাবরই ভীষণ মজবুত। একের পর এক ছবিতে তাঁদের একসঙ্গে জুটি বাঁধতে দেখা গিয়েছে। শোনা গিয়েছিল তাঁর একসঙ্গে সম্পর্কেও রয়েছেন। সত্যি কি তাই? তা নিয়ে জল্পনাও একসময় ছিল তুঙ্গে। তবে খবর বিস্ফোরক হয়ে ওঠে, যখন যানা যায় পুলিশের হাতে অস্বস্তিকর অবস্থায় ধরা পড়েছেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া ও শাহিদ কাপুর। ঠিক কী ঘটেছিল? ২০১১ সালে একবা এইটি অর্থাৎ আয়কর দফতর থেকে রেইড করে প্রিয়াঙ্কার বাড়িতে। আয়কর কর্তাদের দরজায় টোকা পড়তেই এ কী ঘটল। শোনা গিয়েছিল তাঁরা নাকি দরজা খুলতে দেখে ছিলেন শাহিদ কাপুরকে। শুধু তাই নয়, শোনা গিয়েছিল, সেদিন শাহিদ কাপুর কেবল তোয়ালে পরেই সামনে এসেছিলেন।
সম্প্রতি এই বিতর্কে মুখ খোলেন প্রিয়াঙ্কা। জানিয়েছিলেন, শাহিদ তাঁর বাড়িতেই ছিল। কারণ তাঁদের বাড়ির মাঝে দূরত্ব ছিল মাত্র তিন মিনিটের। তবে তার মানে এই নয় যে যা ইচ্ছে তাই বলা যায় বা লেখা যায়। এতে যে মানুষটি সম্পর্কে আছে তাঁর ঠিক কতটা সমস্যা হতে পারে অনেকে অনুমাণ করে উঠতে পারেন না।
সম্প্রতি একের পর এক জল্পনায় জল ঢালতে দেখা যাচ্ছে প্রিয়াঙ্কা চোপড়াকে। নিজের করা বিতর্কিত মন্তব্যকেও ধামাচাপা দিলেন তিনি। বেশ কয়েকদিন আগে থেকেই খবরের শিরোনামে বারে বারে জায়গা করে নিয়েছেন অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়া, কারণ বলিউড বিতর্ক। এক সাক্ষাৎকারে বলিউডকে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছিলেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। প্রকাশ্যেই জানিয়েছিলেন বলিউডে তাঁকে একঘরে করে দেওয়া হচ্ছিল। কেরিয়ার কার্যত শেষ করে দেওয়া হচ্ছিল। কঙ্গনা রানাওয়াত থেকে শুরু করে অনেকেই মনে করেছিলেন প্রিয়াঙ্কা বুঝি করণ জোহরের দিকেই আঙুল তুলেছেন। কিন্তু মেয়েকে নিয়ে প্রথম বার দেশে আসতেই এ কী কাণ্ড! করণকে দেখে বদলে গেল প্রিয়াঙ্কার আচরণ।
আর প্রিয়াঙ্কা এসেছেন তাঁর আগামী সিরিজ সিটাডেল-এর প্রচারে। সেখানেই অভিনেত্রীকে তাঁর বিতর্কিত মন্তব্য নিয়ে মুখ খুলতে দেখা যায়। তিনি বলেন, ”আমি যখন পডকাস্টে এই মন্তব্য করেছিলাম, তখন আমি আমার কেরিয়ার নিয়ে কথা বলছিলাম। আমি আমার শুরুর থেকে জার্নির প্রসঙ্গে আলোচনা করছিলাম, যখন আমার বয়স ১০, ১৫, ২২, ৩০ এবং ৪০। এখন আমি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে এই প্রসঙ্গে কথা বলতে পারি। তবে সেই পরিস্থিতির কথা আমি ভুলে গিয়েছি। অনেক আগেই আমি এটা থেকে বেরিয়ে এসেছি। নিজের মতো করে শান্তিতে আছি। যার ফলে আমার জন্য এখন এই বিষয় নিয়ে কথা বলাটা অনেক বেশি সহজ হয়ে গিয়েছে।”যদিও উল্টোসুর নয়। বরং সুর খানিকটা নরম করেই তিনি স্পষ্ট জানান, যা হয়েগিয়েছে, তা বাস্তব, তবে তিনি ভুলে গিয়েছেন, সে সব অভিমান কাটিয়ে উঠেছেন বলেই স্পষ্ট ইঙ্গিত দেন।