রাজকুমার রাও, বর্তমানে বি-টাউনের এক অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেতা। একের পর এক ভিন্ন স্বাদের ছবি করে যিনি সকলের নজরের কেন্দ্রে জায়গা করে নিয়েছেন। কখনও লামনে উঠে আসতে দেখা যায় তাঁর অভিনয় ঘিরে প্রশংসা, কখনও আবার প্রকাশ্যে উঠে আসে রাজকুমার অভিনীত ছবির প্রশংসা। তবে এমন স্টার খুব কমই আছেন, যাঁদের খুব সহজেই ভাগ্যের চাকা ঘুরেছেন। অধিকাংশ স্টারই ভাগ্যে ফেরে একাধিকবার খারাপ পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছেন। দরজা দরজায় ঘুরে মিলেছে একটা বা দুটো কাজ। চোখের জলে দিন কেটেছে অনেকেরই। তবে হার মানতে নাজার সেলেবরাই এখন দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন সিনেদুনিয়া। যার মধ্যে অন্যতম হল রাজকুমার রাও। স্বপ্ন ছিল তিনি অভিনেতা হবেন।
তিনি বর্তমানে প্যারালাল ছবি ও মেইন স্ট্রিম বাণিজ্যিক ছবি, দুই সামলাচ্ছেন সমালতালে। ভক্তদের মাঝে চাহিদাও তাঁর তুঙ্গে। স্বপ্ন টাকা নিয়ে ঘর ছেড়েছেন অনেকেই। রাজকুমারও চেষ্টায় ছিলেন মুম্বইতে নিজের পায়ের তলার মাটি শক্ত করতে। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রাজকুমার রাও জানিয়েছিলেন বলিউড নিয়ে একাধিক সমস্যার কথা। যা নিয়ে বারে বারে আলোচনা সত্ত্বেও প্রসঙ্গগুলি থেকেই গিয়েছে। যেখানে উঠে আসতে দেখা যায় নেপোটিজম, স্বজন পোষণের মত প্রসঙ্গদের। এমন কি নিজেকে ঠিক কীভাবে তিনি গুছিয়েছেন, সেই প্রসঙ্গেও কথা বলেন। প্রথম ছাত্র হিসেবে, তারপর একজন অভিনেতা হিসেবে। মুম্বইয়ে কঠিন লড়াই চালিয়ে যাওয়াটাই বেশ কষ্টের।
রাজকুমার জানিয়েছিলেন, সত্যিই বহিরাগত হওয়া সমস্যার। গুরগাঁও-য়ের এক জয়েন্ট পরিবারে তাঁর জন্ম। এটা তখন একটি ছোট্ট শহর। ছোট থেকেই তিনি জানতেন তিনি অভিনেতা হতে চান। প্রতিদিন তিনি ৭০ কিলোমিটার সফর করে পৌঁছে যেতেন দিল্লি। সাইকেল চালিয়ে এতটা পথ গিয়ে তিনি থিয়েটর করতেন। মনের অনুভুতিগুলো ছিল, ঠিক যেন প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার আনন্দ। যখন তিনি মুম্বইতে পা রাখেন, তখনও শুরু হয়েছিল আরও এক যুদ্ধ। সারাদিনে একটা মাত্র বিস্কুট খেয়ে থাকা। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে মাত্র ১৮ টাকা পড়েছিল রাজকুমারের। তাঁর হাতে কোনও দ্বিতীয় পরিকল্পনা ছিল না, তিনি অভিনেতাই হতে চেয়েছিলেন, তবে এই কঠিন সময় তাঁর এক বন্ধু তাঁকে ভীষণভাবে সাহায্য করেছিলেন।