দিন কয়েক ধরেই বলিউড উত্তাল। বিভিন্ন প্রতিবেদন দাবি করা হয়েছে দীর্ঘ দিনের সহকারী ফরজানার সঙ্গে সম্পর্কে রয়েছেন রেখা। প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, ইয়াসির উসমান রচিত রেখার আত্মজীবনীতে নাকি দাবি করা হয়েছে এমনটাই। উসমানের যদিও দাবি, তাঁর কথার ভুল ব্যাখ্যা হয়েছে। আইনি ব্যবস্থা হুমকি, নানা গসিপ, নানা আলোচনা নিয়ে যখন বলিউড উত্তাল, ঠিক এমনই এক সময়ে এক ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। কী রয়েছে সেই ভিডিয়োতে? যা আরও একবার উস্কে দিয়েছে সমকামের জল্পনা। ভিডিয়োটি ২০০৪ সালে। সিমি গারেওয়ালকে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন রেখা। ওই সাক্ষাৎকারে রেখাকে তাঁর বিয়ের পরিকল্পনা নিয়ে প্রশ্ন করেন। পাল্টা রেখা জিজ্ঞাসা করেন, “একজন পুরুষকে?” সিমি ‘নিশ্চয়ই, মহিলাকে নয় নিশ্চয়ই’ বলতেই রেখা ভুরু উঠিয়ে উত্তর দেন, “কেন নয়”? এর পরেই বলিউডের চিরসবুজ নায়িকা বলেন, “মনে মনে আমি নিজেকে বিয়ে করে নিয়েছি। আমার কাজ ও আমার পেশাকে আমি ভালবেসে ফেলেছি। আমি নিষ্ঠুর নই।”
রেখার জীবন বিতর্কে ঘেরা। অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের কথা কারও অজানা নয়। ১৯৯০ সালে ব্যবসায়ী মুকেশ আগরওয়ালকে বিয়ে করেন রেখা। কিন্তু বিয়ের মাত্র সাত মাসের মধ্যেই গলায় রেখারই ওড়না জড়িয়ে আত্মহত্যা করেন তাঁর স্বামী। সে সময় সব দায় গিয়েছিল রেখার উপর। শুরু হয়েছিল ‘হুইচ হান্টিং’ অর্থাৎ নানা প্রতিবেদন থেকে শুরু করে লোক সমাজে রেখাকে ‘ব্ল্যাক লেডি’রও তকমা দেওয়া হয়।
এমনকি সে সময় ফরজানার সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক নিয়েও শুরু হয় নানা চর্চা। রেখার বেডরুমে একমাত্র তাঁরই প্রবেশের অধিকার আছে– এ কথা রটে বিপুলভাবে। এও রটে তা সহ্য করতে না পেরেই নাকি প্রয়াত হয়েছেন মুকেশ। যদিও মুকেশ তাঁর সুইসাইড নোটে স্পষ্টতই জানিয়ে দেন, তাঁর মৃত্যুতে কেউ দায়ী নয়। কিন্তু রেখাকে দোষারোপ করার নগ্ন খেলা শান্ত হয়নি। সে সব যদিও বহুদিনের কথা। আজ রেখা আইকন। তাঁর ভক্তসংখ্যা ছড়িয়ে ছিটিয়ে সারা দেশ জুড়ে, দেশের বাইরেও।