বর্তমানে রমরমিয়ে চলছে দৃশ্যম ২ ছবি। টানা ৭ বছর ধরে এই ছবি দর্শকদের মনে যেভাবে প্রভাব ফেলে এসেছে, তা এক কথায় বলতে গেলে প্রশংসার দাবিদার। খোদ ছবির পরিচালক অভিষেক পাঠক জানিয়েছিলেন, দৃশ্যম প্রমাণ করেছে ভাল ছবি থেকে যায়, কে বলে থ্রিলারের কদর কেবলমাত্র ওটিটি-তে! বড়পর্দায় তার দাপট দর্শকমনে কতটা জায়গা করতে পারে তা প্রমাণ করে দিয়েছে এই ছবি। ফলে ছবির সিক্যুয়েল যে দর্শকমনে জায়গা করে নেবে তা আর আলাদা করে বলার অপেক্ষা রাখে না। পরিচালকের অনুমানে কোনও ব্যতিক্রম ঘটল না। ছবি মুক্তি পেতেই তা দর্শক মহলে চর্চিত। বারে বারে তাব্বু ও অজয় দেবগনকে নিয়ে আলোচনা করছে ভক্তরা। কিন্তু অক্ষয় খান্না! প্রশ্ন থেকে গিয়েছিল এখানেই।
প্রথম ছবির প্রস্তাব নিয়ে যখন অক্ষয় খান্নার কাছে উপস্থিত হয়েছিলেন পরিচালক, তখন এক কথায় ছবির প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। জানিয়েছিলেন এই ছবি তিনি করতে পারবেন না। কারণ হিসেবে বলেন, এই ছবি আদ্যপান্ত অজয় দেবগনের ছবি। ফলে তাঁর আর আলাদা করে করার কিছু থাকে না। সেই কারণেই তিনি ছবি করতে চাননি। যদিও পরবর্তীতে পরিচালক তাঁকে রাজি করিয়েছিলেন, জানিয়েছিলেন অন্তত পক্ষে একবার যেন তিনি চিত্রনাট্যটি পড়ে দেখেন। এরপর ছবির গল্প পড়ে অক্ষয় খান্না রাজি হয়ে যান ছবিটি করতে।
তাঁর প্রাথমিক যুক্তি ছিল, এই ছবিতে অন্য কারুর কিছুই করার থাকতে পারে না। এটা সম্পূর্ণটাই অজয় দেবগনের ছবি। যার আশে পাশে বিভিন্ন চরিত্ররা ঘিরে আছে। সেই কারণেই তিনি স্থির করেছিলেন এই ছবিতে কাজ করবেন না। তবে দৃশ্যম টিম প্রথম থেকেই চেয়েছিলেন অক্ষয় খান্নাকে টিমে নিতে। ফলে তারা সেভাবেই সাজিয়েছিলেন চরিত্র। সবটা পড়ে দেখার পর তিনি রাজি হয়ে যান। ছবির জন্য হ্যাঁ-ও বলে দেন। খুব বেশি সময় নেননি তিনি। মিটিং হয়েছিল আলিবাগের ফার্মহাউসে, সেখান থেকে যখন পরিচালক ফিরছিলেন, তখন আসে ফোন, অক্ষয় খান্না সম্মতি জানান চরিত্রে।