প্রচারমুখী ছবি পরিচালনা করে বারবারই বিতর্কের সম্মুখীন হয়েছিলেন পরিচালক বিবেক রঞ্জন অগ্নিহোত্রী। কোন এক রাজনৈতিক দলের প্রতি তাঁর আনুগত্য নিয়ে প্রশ্নও উঠেছে। যে কারণে বারবারই কাটগড়ায় দাঁড় করানো হয় তাঁর ছবিগুলিকে। এছাড়াও, স্বজনপোষণ এবং নিপোটিজ়মের মতো বিষয় নিয়ে চিরকালই সরব থেকেছেন বিবেকরঞ্জন অগ্নিহোত্রী। কিন্তু এবার তাঁর দিকে নিশানা। তাঁর স্ত্রী অভিনেত্রী পল্লবী যোশীকে দেখা যায় বিবেক রঞ্জন অগ্নিহোত্রীর সব ছবিতে। তাকে দেখা যাঁয় গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রেও। যে ব্যক্তি লাগাতারভাবে নেপোটিজ়ম এবং স্বজনপোষণ নিয়ে কটাক্ষ করেন অন্যকে, তাঁর নিজের বাড়িতেই রয়েছে স্বজনপোষণের চাষ। এ বিষয়টি যখন আঙুল তুলে দেখানো হয় বিবেককে, কী বললেন তিনি?
বিবেকরঞ্জন অগ্নিহোত্রীর বক্তব্য, “আমার স্ত্রী অসামান্য একজন অভিনেত্রী। আমার ছবিতে যাঁরা-যাঁরা অভিনয় করেছেন, তাঁরা প্রত্যেকেই জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেতা। আমার স্ত্রী হিসেবে কোনও বাড়তি সুযোগ পায় না পল্লবী। বরং ওঁর প্রতিভার কারণেই ওকে কাস্ট করি আমি। এছাড়াও, আমার চেয়ে অনেক আগে থেকে এই ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করছে পল্লবী। এখানে স্বজনপোষণের প্রশ্নই ওঠে না।”
‘দ্যা কাশ্মীর ফাইলস’ মানুষ মনে এবং বক্স অফিসে দারুণ সাড়া ফেলেছে। ৯০-এর দশকে জন্মভূমি কাশ্মীর থেকে হিন্দু কাশ্মীরি পণ্ডিতদের বিতাড়িত হওয়ার নৃশংস ঘটনাকে কেন্দ্র করেই তৈরি হয়েছিল এই ছবি। ছবি মুক্তির পর অনেকেই বলেছিলেন বিবেকরঞ্জন প্রচারমুখী ছবি তৈরি করেন। তবে কিছু মানুষ, এমনকী, কাশ্মীরি পণ্ডিতরা বলেছিলেন, কোনও কিছুই অতিরঞ্জিত করে দেখানো হয়নি ছবিতে, বরং বাস্তবে যা ঘটেছে তাঁর ৩০% দেখানো হয়েছে। এরপর বিবেক মন দিয়েছেন ‘দ্য়া ভ্যাকসিন ওয়ার’ এবং ‘দ্যা দিল্লি ফাইলস’ ছবিতে। ‘দ্যা ভ্যাক্সিন ওয়ার’ মুক্তি পেতে চলেছে সেপ্টেম্বরের ২৮ তারিখ। সেই ছবিতেও পল্লবীকে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে দেখা যাবে। ছবিতে ফুটে উঠবে করোনাকালের কথা। ভারতের নিজস্ব ভ্যাকসিন বানানোর প্রতিকূলতা এবং লড়াইকে কেন্দ্র করে তৈরি হয়েছে ছবির চিত্রনাট্য।