কয়েকদিন আগে মুক্তি পেয়েছে এক সময়কার জনপ্রিয় এবং ব্লকবাস্টার ছবি ‘গদর’। সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে সেই ছবি সিকুয়্যেল ‘গদর ২’। ছবিতে ফের একসঙ্গে কাজ করেছেন সানি দেওল এবং আমিশা পাটেল। তাঁর অভিনয় কেরিয়ারে অতি কম সংখ্যক ছবিতে কাজ করেছেন আমিশা। তবে যতটুকু কাজ করেছেন, সাফল্য পেয়েছেন তাতেই। সে তাঁর প্রথম ছবি হৃত্বিক রোশনের বিপরীতে ‘কহো না পেয়ার হ্যায়’ হোক কিংবা ‘গদর’। ‘গদর টু’-এর সাফল্যের পর সংবাদমাধ্যমের সামনে খোলাখুলি কিছু কথা বলেছেন আমিশা।
অর্থনীতি বিষয়ে স্বর্ণপদক পেয়েছিলেন আমিশা পাটেল। অনেকে মনে করতেন, অভিনয় পেশায় আসা তাঁর উচিতই হয়নি। লেখাপড়া নিয়েই থাকতে পারতেন এই সুন্দরী অভিনেত্রী। যদিও তাঁর জীবনে অভিনয় এসেছিল কাকতালীয়ভাবেই। হৃত্বিক রোশনের বাবা অভিনেতা রাকেশ রোশান তাঁকে কাস্ট করেছিলেন ‘কহো না পেয়ার হে’-এর জন্য। প্রথম ছবিতে সাফল্য আসার পরও সেইভাবে জমি শক্ত করতে পারেননি আমিশা। তবে ফের তিনি সফল হয়েছিলেন ‘গদর’-এর হাত ধরে। সেই ‘গদর’-এর জন্য সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে আমিশা জানিয়েছেন, “গোটা ইন্ডাস্ট্রি জানে আমি সোজাসাপ্টা মানুষ। উচিত কথা বলে দিই মুখের উপর। কোনও ছবি খারাপ লাগলে রাখঢাক করতে পারি না। হল থেকে বেরিয়ে এসে বলে দিই সত্যি কথা। তাই আমাকে ‘মুফট’ (পড়ুন স্পষ্টবাদী) বলা হয় বলিউডে। এতে হয়তো অনেকে রেগেও যান আমার উপর।”
তিনি বলেছেন, “তবে সত্যি বলতে কি, আমি মানুষটা একটু অন্যরকম। শুটিংয়ে কোনও কাজ না থাকলে এক কোণায় বসে বই পড়ি কিংবা গান শুনি। একা-একাই সময় কাটাই। কার জীবনে কী ঘটছে, পরনিন্দা-পরচর্চা থেকে দূরে থাকি। সেই জন্যই হয়তো আমি পি.আর করতে পারিনি। আমি কারও পিছনে লাগি না। কারও সম্পর্কে খারাপ কথা বলি না। কার হয়ে ক্যাম্পেনিং করি না। উপরে ওঠার জন্য কোনওদিন কাউকে টেনে নীচে নামিয়ে দিইনি। সেই কারণে আজও হয়তো আমার পা মাটিতেই রাখতে পেরেছি।”