ছোটোবেলা থেকেই সুখের সন্ধানে থাকি আমরা। অনেকে অনেক কথাই বলে যায়। ছোটোবেলায় মনে হয় উপার্জন করে কিনে ফেলব একটা আস্ত ফুচকার দোকান। কিংবা কিনে ফেলব আইসক্রিমের গাড়ি। তারপর যখন বড় হই পছন্দগুলো পাল্টাতে থাকে। আর পাল্টাতে থাকে সুখের সংজ্ঞাও। ঠিক সে রকম কিছু কথা ব্যক্ত করেছিলেন অভিনেতা হৃত্বিক রোশন। তাঁর কাছে সুখের সন্ধান ছিল তীব্র। ছোটোবেলা থেকেই নানা লোকে তাঁকে বলেছিল সুখ আসবে সাফল্য এলেই। তারপর যখন প্রথম ছবি ‘কহো না পেয়ার হ্যায়’ ব্লকবাস্টার হিট করল, তিনি দেখলেন কোনও কিছুই পাল্টায়নি। সুখ রয়েছে অধরাই। তারপর জীবনের কঠিনতম উপলব্ধি করলেন হৃত্বিক। কী সেটা?
ঋত্বিকের মনে হয়েছে, সুখ আসলে নিত্যদিন অভ্যাস করতে হয়। সাফল্য এলেই যে পিছু-পিছু সুখ আসবে, তার কোনও মানে নেই। তিনি বলেছেন, ছোট-ছোট জিনিসের মধ্যেই রয়েছে সুখ। সেই সূত্রে উপলব্ধি করাও একটা অভ্যাস।
২০০০ সালে মুক্তি পেয়েছিল হৃত্বিক রোশনের কেরিয়ারের কাল্ট ছবি ‘কহো না পেয়ার হ্যায়’। সেই ছবিতে দ্বৈতচরিত্রে অভিনয় করেছিলেন হৃত্বিক। ছবিটি পরিচালনা করেছিলেন তাঁরই বাবা রাকেশ রোশন। বিপরীতে ছিলেন আমিশা প্যাটেল। প্রথম ছবি মুক্তির পরই দীর্ঘদিনের প্রেমিকা সুজ়ন খানকে বিয়ে করেছিলেন ঋত্বিক। তারপর একাধিক ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। কিছু ছবি চলেছে, কিছু চলেনি। স্ত্রী সুজ়ন খানের সঙ্গও ছেড়েছে একটা সময়। বিবাহবিচ্ছেদ ঘটেছে তাঁদের। যদিও দুই পুত্র রিহান এবং হৃদানকে নিয়ে ভালই আছেন ঋত্বিক-সুজ়ন। তাঁদের জীবনে প্রেমও এসেছে। সম্প্রতি হৃত্বিক সম্পর্কে জড়িয়েছেন সাবার সঙ্গে। তাঁরা হয়তো শীঘ্রই বিয়েও করবেন।