ঘড়িতে তখন সকাল ৬টা। ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল – এর সামনে সারি দিয়ে দাঁড় করানো প্রায় ৪৫ টিরও বেশি ট্যাক্সি। লাইট, ক্যামেরা জায়গা মতো রাখার কাজও শুরু হয়েছে জোর কদমে। একটু পর মেক আপ ভ্যানও আসতে শুরু করল পরপর। অপেক্ষা শুধু একজনের । মেগাস্টার চিরঞ্জীবীর। তেলুগু ছবি ‘ভোলা শঙ্কর’-এর শুটিংয়ে যিনি কলকাতায় পা রেখেছেন বুধবার বিকেলে। বেলা গড়াল। ঘড়ির কাঁটা জানান দিল সকাল ৯টা বেজেছে। মেক আপ ভ্যান থেকে নেমে সোজা ট্যাক্সির সামনে গিয়ে দিয়ে ফেললেন প্রথম শট। ছাইরঙা পোশাকে আর বাকি ট্যাক্সি ড্রাইভারদের সঙ্গে মিশে গেলেন চিরঞ্জীবী। প্রথম শট রেডি।
‘ভোলা শঙ্কর’ ছবির শুটিং চলবে টানা ৬ দিন। কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে শুটিং হবে এই ছবির। ২০১৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত দক্ষিণী সুপারস্টার অজিত কুমার অভিনীত ছবি ‘ভেদালম’-এর রিমেক এই ‘ভোলা শঙ্কর’। তবে সময়ের দাবি মেনে কলকাতার প্রেক্ষাপটে এনে ফেলা হয়েছে কাহিনিকে। আর কলকাতার এক বিখ্যাত আইনজীবীর চরিত্রে অভিনয় করছেন তামান্না। লাল অডি চালিয়ে শুটিং স্পটে হাজির হতেই গাড়ি গেল বিগড়ে। অগত্যা দ্বারস্থ হলেন ট্যাক্সি ড্রাইভার চিরঞ্জীবীর। বাস্তবে নয় সিনেমায় দীপিকা (তামান্না ) ও ভোলা শঙ্কর -এর (চিরঞ্জীবী) দেখা এভাবেই। সেই দৃশ্যেরই শুটিং হল ভিক্টোরিয়ার সামনে। জনবহুল রাস্তায় চোখের সামনে মেগাস্টারকে দেখেও চিনতে পারেননি অনেকেই। তবে বাস্তবের ট্যাক্সি চালকরা খুশি চিরঞ্জীবীকে তাদের পোশাকে শুটিং করতে দেখেই। তামান্নাকে দেখে অনেকের মুখেই আবার শোনা গেল বাহুবলীর কথা। শুটিংয়ের ফাঁকেই ছবির পরিচালক মেহের রমেশ বলেন , ‘কলকাতা আমাদের জন্য খুব লাকি। চিরঞ্জীবী স্যারের ব্লকবাস্টার ছবির শুটিংও এখানে হয়েছে। বাংলার ওনার অনেক ফ্যান ফলোয়িং। এই ছবি আসলে অ্যাকশন এন্টারটেনার। চিরঞ্জীবী স্যারকে দেখে খুশি হয়ে যাবে দর্শক।’
চিরঞ্জীবী, তমন্না ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করছেন দক্ষিণের উঠতি তারকা সুশান্ত। এদিন তিনিও হাজির ছিলেন শুটিংয়ে। দেখা মিলবে অভিনেত্রী কীর্তি সুরেশেরও। গতবছরই মুক্তি পেয়েছিল চিরঞ্জীবীর বিখ্যাত ছবি ‘গডফাদার’। ‘ওয়াল্টার ভীরাইয়া’ নামে তাঁর আরও একটি ছবি এই বছরের শুরুর দিকে মুক্তি পেয়েছিল । ভোলা শঙ্কর নিয়েও আগ্রহ তুঙ্গে। আপাতত ১০ মে পর্যন্ত কলকাতায় থাকছেন পর্দার ভোলা শঙ্কর। তাই ট্যাক্সি ড্রাইভার হিসেবে রাস্তায় চিরঞ্জীবীকে দেখতে পেলে আবার চমকে যাবেন না যেন।