AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

‘দেবকে বলছিলাম, সবাই তো সব কিছু বলে দিল…’, চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনে শেষমেশ কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা?

এবারে বিশেষ অতিথির আসনে ছিলেন বলিউডের বিখ্যাত পরিচালক রমেশ সিপ্পি, শত্রুঘ্ন সিনহা, আরতি মুখোপাধ্যায়, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, তিলোত্তমা সোম, গৌতম ঘোষ, রঞ্জিত মল্লিক, লিলি চক্রবর্তী, শ্রী প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, শ্রী চিরঞ্জিত চট্টোপাধ্যায়, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, কোয়েল মল্লিক, রাজ চক্রবর্তী, পাওলি দাম, দেব সহ আরও অনেকে।

'দেবকে বলছিলাম, সবাই তো সব কিছু বলে দিল...', চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনে শেষমেশ কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা?
| Updated on: Nov 06, 2025 | 6:01 PM
Share

বৃহস্পতিবার জমজমাট উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে শুরু হয়ে গেল ৩১ তম কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসব। অনুষ্ঠানের সঞ্চালনায় ছিলেন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, জুন মালিয়া। এবারে বিশেষ অতিথির আসনে ছিলেন বলিউডের বিখ্যাত পরিচালক রমেশ সিপ্পি, শত্রুঘ্ন সিনহা, আরতি মুখোপাধ্যায়, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, তিলোত্তমা সোম, গৌতম ঘোষ, রঞ্জিত মল্লিক, লিলি চক্রবর্তী, শ্রী প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, শ্রী চিরঞ্জিত চট্টোপাধ্যায়, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, কোয়েল মল্লিক, রাজ চক্রবর্তী, পাওলি দাম, দেব সহ আরও অনেকে।

প্রতিবারের মতোই এবারও কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনী মঞ্চে বাংলা সিনেমার বিশ্ব জয়ের কথা তুলে ধরলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তাঁর বক্তব্যে উঠে এল সত্যজিৎ রায়, ঋত্বিক ঘটক, উত্তম কুমার, সৌমিত্র চট্টোপাধ্য়ায়ের মতো কিংবদন্তিদের সিনেমায় অবদানের কথা। তবে শুরুতেই এদিন উদ্বোধনী মঞ্চ থেকে মমতা বলেন, ”আমি দেবকে বলছিলাম, সবাই তো সব কিছু বলে দিল, আমি আর কি বলব! সবাইকে ধন্যবাদ বলা ছাড়া আর কিছুই বলার নেই তো।” এরপরই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ”আমার মনে হয়, গৌতম ঘোষ ও তাঁর টিম দারুণ কাজ করেছে এই ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের বাছাইয়ে। বাংলায় প্রচুর প্রতিভাবান মানুষ রয়েছেন। বাংলার সংস্কৃতি সমৃদ্ধ। সিনেমা গোটা বিশ্বকে একজায়গায় নিয়ে আসে। প্রতিটি মানুষকে একসূত্রে বেঁধে দেয়। সিনেমার কোনও সীমারেখা নেই। এই উৎসবে প্রচুর সিনেমা, প্রচুর তথ্যচিত্র দেখানো হবে। সবাই এনজয় করুন।”

এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, ”এবারের চলচ্চিত্র উৎসবের সবচেয়ে বড় চমক হল, নানা আন্তর্জাতিক ভাষা, বাংলা ভাষার সিনেমার পাশাপাশি টুলু, বোরো, কঙ্কনি, সাঁওতালির মতো কয়েকটি ভাষার সিনেমা দেখানো হবে। সব আঞ্চলিক ভাষাকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত। তাঁদের ভাষা সবাই বুঝতে না পারলেও, তাঁদের হৃদয় খুবই সুন্দর। সেই মানুষদের গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে,সেটা সত্যিই প্রশংসাযোগ্য বিষয়। লোকাল মানুষদের সব সময় উৎসাহ দেওয়া উচিত। এইভাবেই তাঁদের বার্তা দেওয়া, তোমরা এক নও, তোমাদের সঙ্গে গোটা বিশ্ব রয়েছে।”

এই চলচ্চিত্র উৎসবে আমন্ত্রিত বিদেশ থেকে আসা অথিতিদের কলকাতা ঘুরে দেখার আহ্বান জানালেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রীর বলেন, ”আমি চাইব তাঁরা কলকাতা ঘুরে দেখুক। কলকাতাকে চিনুক। আসুন একসঙ্গে কাজ করি আমরা।”