দেখুন গ্যালারি: দেশের ৮ গা ছমছমে ভূতুড়ে রেল স্টেশন
ভূতে ভয় পেতে নাকি মানুষ ভালবাসে। আর যেখানে ভালবাসা আছে সেখানে কোনও যুক্তি খাটে? তাই ভূতপ্রিয় বাঙালিদের জন্য জন্য দেশের আট ‘যেচে ভয় পাওয়ার’ ডেস্টিনেশন। না না ডেস্টিনেশন না বলে ভুতূড়ে স্টেশন বলাই বেটার! চোখ রাখুন গ্যালারিতে...
রবীন্দ্র সরোবর মেট্রো স্টেশন, পশ্চিমবঙ্গ: কলকাতার এক নামকরা মেট্রো স্টেশন। ‘সুইসাইড স্টেশন’ বললেও খুব ভুল হবে না। প্রচুর ভৌতিক গল্প আছে স্টেশন জুড়ে। বহু আত্মহত্যার খবর উঠে এসেছে সরোবর স্টেশন ঘিরে। শোনা যায় রাতের শেষ মেট্রো যা কিনা সাড়ে দশটার রবীন্দ্র স্টেশন মেট্রোয় পৌঁছয়, তাতে নাকি ভূত চড়ে, এবং সে ভূত রেললাইনেও হেঁটে চলে বেড়ায়!
বারোগ স্টেশন, হিমাচল প্রদেশ: ঠিক স্টেশন নয়। টানেল বলা যেতে পারে। টানেল নং ৩৩। বারোগ স্টেশনের খুব কাছে অবস্থিত এই টানের জুড়ে রয়েছে এক ভৌতিক ঘটনা। একজন ইংরেজ ইঞ্জিনিয়ার কর্নেল বারোগ এই স্টেশনটি তৈরি করেন। এবং তিনি সেই টানেলে বেপরোয়াভাবে হাঁটতে গিয়ে নিজের প্রাণ হারান। স্থানীয় বাসিন্দার মতে এখনও কর্ণেল সাহেবের প্রেতাত্মাকে দেখা যায় টানেলে।
বেগুনকোদর স্টেশন, পশ্চিমবঙ্গ: বিয়াল্লিশ বছরেরও পুরনো এক স্টেশন। বহু বছর বন্ধ ছিল বেগুনকোদর স্টেশন। ২০০৯ সালে পুণরায় এটিকে জনসাধারণের জন্য চালু করা হয়। রেলযাত্রীর অনেকের দাবি, বেশ রাতের দিকে এক মহিলা অশরীরীকে হাঁটতে দেখা যায় স্টেশন চত্ত্বরে!
চিত্তুর স্টেশন, অন্ধ্র প্রদেশ : হরি সিং ছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর এক আধিকারিক। তার উপর হামলা চালায় এক আরপিএফ পুলিশকর্মী এবং এক দল টিকিট পরীক্ষক। প্রাণ হারান হরি সিং। তার পর থেকে লোকমুখে শোনা যায় হরি সিংয়ের আত্মা শান্তি পায়নি। এবং সে কারণে ন্যায়ের আশায় প্রায়শই হরি সিংকে দেখা যায় চিত্তুর স্টেশনের আসপাশে।
নৈনি স্টেশন, উত্তর প্রদেশ: নৈনি কারাগারের খুব কাছে নৈনি রেল স্টেশন। স্বাধীনতার সময়কালে বহু সংগ্রামীকে এ কারাগারে বন্দী এবং শোষন করা হয়। এমনকি তাদের মধ্যে অনেকের মৃত্যুও ঙটে। শোনা যায় এখনও স্বাধীনতা সংগ্রামীদের আত্মা ঘুরে বেড়ায় নৈনি স্টেশনে।
লুধিয়ানা স্টেশন, পঞ্জাব: টিকিট রিজার্ভেন কাউন্টারের কোণের ঠিক ঘরে থাকতেন আধিকারিক সুভাষ। সে ঘরেই তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে। সুভাষ কাজপাগল মানুষ ছিলেন। শোনা যায় তাঁর আত্মা আজও ঘরের আসপাশে হেঁটে চলে বেড়ায়। এ ঘরে সুভাষের চেয়ারে যে কেউ বসেছে, কিছু না কিছু অলৌকিক সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে বলে লোকমুখে শাোনা যায়।
দ্বারকা সেক্টর ৯ মেট্রো স্টেশন, দিল্লি: জনশ্রুতি, রোজ রাতে এক মহিলা অশরীরী স্টেশনের ঠিক বাইরে চলন্ত গাড়ি ধাওয়া করে। এ সব কারণে সন্ধ্যের দিকে বেশ ফাঁকাই থাকে স্টেশন চত্ত্বর!
মহাত্মা গান্ধী মেট্রো স্টেশন, দিল্লি: গুরুগ্রামের এই মেট্রো স্টেশন ঘিরে বহু অলৌকিক ঘটনা লোকমুখে শোনা যায়। কিছু বছর আগে এক দুর্ঘটনা ঘটে এবং প্রাণ হারান এক মহিলা। তার পর থেকে সাদা শাড়ি পরিহিতা এক অশরীরীকে দেখা যায় স্টেশন সংলগ্ন জায়গায়।
