
এআর রহমানের ভেরিফায়েড ইউটিউব চ্যানেল। যে ইউটিউব চ্যানেলে চার দিন আগে আপলোড করা হয়েছে একটি গান। নজরুলগীতি ‘কারার ওই লৌহ কপাট’কে স্বকীয় ভাবে আপলোড করেছেন রহমান। যা নিয়ে এই মুহূর্তে চলছে বিতর্ক। অনেকেই বলছেন, গানটির আত্মাকে খুন করেছেন রহমান। আবার অনেকেরই মতে এই মডিফেকেশনের কোনও দরকার ছিল না! সব শুনে আপনিও ইউটিউব চালিয়ে গানটা শুনে রেগেমেগে একশেষ? জানেন কি আখেরে লাভ হচ্ছে রহমানেরই। কথাতেই বলে যে কোনও ধরনের প্রচারই আদপে প্রচার। তা ইতিবাচক হোক অথবা নেতিবাচক। রহমানের ক্ষেত্রেও সেরকমটাই ঘটেছে। কীভাবে? গতকাল অর্থাৎ শুক্রবারও রহমানের কম্পোজ করা গানটিতে সকাল ৯টা অবধি ভিউজ ছিল ৪৬ হাজারের মতো। গতকাল সারাদিন ধরে চলা যাবতীয় তর্ক-বিতর্ক, আলোচনা-সমালোচনার জেরে এই প্রতিবেদন প্রকাশ পর্যন্ত সেই ভিউজ গিয়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫ লক্ষের কাছাকাছি। যেহেতু রহমানের ভেরিফায়েড ইউটিউব চ্যানেল থেকে এই গান আপলোড করা হয়েছে, তাই আখেরে কিন্তু লাভ হচ্ছে রহমানেরই। যত বেশি ভিউজ ততই নির্মাতা ঘরে টাকা– এ হিসেবে জলের মতো সহজ। কারণ দিনের শেষে প্রচার যে প্রচারই হয়।
সে যাই হোক রহমানের এই কম্পোজিশন নিয়ে গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার টিভিনাইন বাংলার কাছে মুখ খুলেছিলেন নজরুলের নাতি কাজি অরিন্দম। তিনি বলেন, “অবাক লাগছে! হতবাক হয়ে যাচ্ছি। প্রশ্ন জাগছে, এই কাজটি করার আগে কারও সঙ্গে কথা বলেছিলেন উনি? সুর পরিবর্তন করে ঠিক কী বোঝাতে চাইলেন তিনি? একটা বহুশ্রুত সুর, বহুদিন আগের একটা গান কোন অধিকারে তিনি বদলে দিতে পারেন, এটাই এখন আমাদের পরিবারের সবচেয়ে বড় প্রশ্ন।” তিনি আরও বলেন, “আগুন নিয়ে খেলেছেন রহমান”।