লকডাউনে পরিযায়ীদের বাড়ি ফেরার করুণ কাহিনী শুনেছে দেশ। সঙ্গে বার বার উঠে এসেছে একজন ‘হিরো’র নাম। রিল কিংবা রিয়েল দুই ক্ষেত্রেই তিনি ‘হিরো।’ নেটিজেনদের একটা বিরাট অংশ অন্তত তাঁকে এই তকমা দিয়েছে। সেই ‘মসিহা’ কি এ বার রাজনীতির আখড়ায়? প্রশ্নটা বেশ কয়েকদিন ধরেই ঘুরছে।
লকডাউনে একের পর এক পরিযায়ী শ্রমিককে বাড়ি ফেরানোর জন্য নিজের হাতে বাসের ব্যবস্থা করেছিলেন অভিনেতা সোনু সুদ। তারপর থেকেই নেটিজেনদের মনে জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। জোর গুঞ্জন উঠেছিল, এ বার রাজনীতিতে নামবেন ‘মসিহা।’ তবে তিনি শোনালেন অন্য কথা। সক্রিয় রাজনীতিতে নামছেন সোনু সুদের বোন মালবিকা সুদ।
শোনা যাচ্ছে ২০২২ সালে পঞ্জাবের বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন মালবিকা। খোদ সোনু সুদই এ কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “আমরা অফিসিয়ালি ঘোষণা করছি মালবিকা পঞ্জাবের সেবা করতে আসছে।” তবে কোন দলের হয়ে রাজনীতিতে হাতেখড়ি হবে সোনুর বোনের। তা এখনও জানা যায়নি। বোনের পর কি সোনু সুদও রাজনীতিতে আসবেন? এই প্রশ্নের উত্তরে অবশ্য তিনি জানিয়েছেন, আপাতত সেরকম কোনও পরিকল্পনা নেই। কিন্তু সোনু সুদের সঙ্গে পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চন্নি ও দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবালের বৈঠক নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে সব মহলে। তাহলে কি কংগ্রেস বা আপের হাত ধরেই হাতেখড়ি হবে সোনু সুদের? এই প্রশ্নের আপাতত কোনও উত্তর নেই, আছে শুধুই জল্পনা।
দিল্লির সিঙ্ঘু সীমান্তে দীর্ঘদিন ধরে চলছে কৃষক আন্দোলন। সে বিষয়ে আগেই নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছেন সোনু সুদ। তিনি সাফ জানিয়েছেন, কৃষকরা যেন নিজেদের অধিকার পায়। ভারতে তারকাদের রাজনীতিতে আসার ট্রেন্ড রয়েছে। সেক্ষেত্রে সোনু সুদ যদি রাজনীতিতে আসেন, তাতে অবাক হওয়ার কিছু নেই বলছেন বিশ্লেষকরা। মালবিকা আগে থেকেই শিক্ষা ও স্বাস্থ্য নিয়েই কাজ করছেন। বোন সক্রিয় রাজনীতিতে নামার পর দাদার কি অবস্থান হয়, তা জানতে উৎসাহি গোটা দেশ।