Chocolate Day Special: চকোলেট যখন ঘায়েল করে তিন সেলেবকে, কী শেয়ার করলেন স্বস্তিকা দত্ত, ঋ আর রুকমা রায়?

Chocolate Day Special: চকোলেট নিয়ে বিভিন্ন মজার অভিজ্ঞতা TV9 বাংলার সঙ্গে শেয়ার করলেন স্বস্তিকা দত্ত, ঋ এবং রুকমা রায়।

Chocolate Day Special: চকোলেট যখন ঘায়েল করে তিন সেলেবকে, কী শেয়ার করলেন স্বস্তিকা দত্ত, ঋ আর রুকমা রায়?
এই তিন নায়িকারই চকোলেট প্রিয়...।

| Edited By: স্বরলিপি ভট্টাচার্য

Jul 07, 2021 | 12:16 PM

চকোলেট বয় (স্বস্তিকা দত্ত)

‘চকোলেট বয়’ বলতে যেটা প্রথমেই মাথায় আসে অনেক বছর আগে একটা বিজ্ঞাপনে দেখানো হয়েছিল, একটা ছেলের গা দিয়ে এত ভাল গন্ধ বেরোয়, যে তার নাম চকোলেট। তারপর দেখা গেল তিনি রণবীর কাপুর। চকোলেট বয় মানে খুব মিষ্টি একটা ব্যাপার (হাসি)। ছেলেরা কি মিষ্টি হয় না, অফকোর্স হয়। সফট স্পোকেন হয়। ওরাই তো চকোলেট বয়। যে ছেলে খুব মিষ্টি করে কথা বলে, উল্টো দিকের মানুষটাকে সম্মান দিতে পারে, আমার জন্য চকোলেট বয় সে। সেটাই আমার কাছে চকোলেট বয়ের ডেফিনেশন।

প্রত্যেকটা ছেলের জীবনে চকোলেট বয় ফেজটা থাকে। মেয়েদের যেমন সুইট সিক্সটিন থাকে। ছেলেদেরও একটা ওই পর্ব থাকেই। সে তার ত্বকের রং যাই-ই হোক না কেন, চকোলেট বয় ফেজ সব ছেলের জীবনেই আসে। ১৫ থেকে ২০ বছর বয়স পর্যন্ত হতে পারে, ১৮ থেকে ২০ হতে পারে। ‘গুলাম’-এর সময় আমির খানেরও ওই চকোলেট বয় ইমেজটা ছিল।

তবে আমি যদি আমার পছন্দের অনস্ক্রিনের চকোলেট বয়দের বেছে নিই, সেখানে আমির নেই। এই লিস্টে রোহিত শরাফকে প্রথমে রাখব আমি। আমার প্রচণ্ড ভাল লাগে ছেলেটাকে। সেকেন্ড পজিশনে শাহিদ কাপুর। তারপর অপারশক্তি খুরানা। টলিউডে বা টেলিউডে চকোলেট বয় বেছে নেওয়াটা কঠিন (হাসি)। তবুও আমি নাম বলছি আপনাদের। কিন্তু এক, দুই, তিন-এ ভাবে সাজাব না। ক্রুশল আহুজাকে সবাই চকোলেট বয় বলে শুনেছি। নীল ভট্টাচার্যের কথা বলব। শন বন্দোপাধ্যায়। আর আবির চট্টোপাধ্যায়।

ব্যক্তিগত জীবনেও আমার চকোলেট বয় আছে। আমার বাবা, আর শোভন। যে আমাকে চকোলেট খাওয়ায়, সে-ই আমার চকোলেট বয়। বাবা, শোভন। এই দু’জনের কাছেই আমি চকোলেটের আবদার করতে পারি। একজনও কিন্তু সফট স্পোকেন নয়। তবে অবশ্যই উল্টো দিকের মানুষটাকে সম্মান দিতে জানেন। আর এমনিতে আমার চারপাশে ‘মাচো বয়’রা ছিল সব সময় (হাসি)। সেই অর্থে, লুক ওয়াইজ চকোলেট বয় আসেনি জীবনে। তবে বলিউডের যাদের নাম বললাম, তাদের সঙ্গে দেখা হলে ভাল লাগবে আমার।

চকোলেট ফ্লেভারড কন্ডোম (ঋ)

সত্যি কথা বলতে, চকোলেট ফ্লেভারড কন্ডোম আমি কখনও ট্রাই করিনি (হাসি)। যদি ট্রাই করি, ইট শুড নট বি টু মাচ সুইট। আমি পার্টিকুলার এই ফ্লেভার ডেফিনেটলি ট্রাই করতে চাই। কিন্তু সেটা বিটার সুইট। ডার্ক এফেক্ট থাকতে হবে। আমার কাছে সেনসুয়াস যে কোনও জিনিসের ডার্ক এফেক্ট থাকতে হবে। ডার্ক, বিটার অ্যান্ড সুইট। চকোলেট ফ্লেভারড কন্ডোম ব্যবহার করলেও সেটার এই তিনটে ফ্লেভার থাকতে হবে, তবেই ব্যবহার করব (হাসি)।

আমি কন্ডোম খুব একটা পছন্দ করি না। এক্সপেরিমেন্টও করিনি। আসলে এক্সপেরিমেন্ট করতে পছন্দ করি না। তাই চকোলেট ফ্লেভার দিয়ে ট্রাই করিনি। যখন নতুন-নতুন বাজারে এসছিল, সানি লিওন না কে যেন বিজ্ঞাপন করেছিলেন, তখন হয়তো মজা করে ক্লোজ সার্কেলে কথা হয়েছিল, এ বার কন্ডোমেও চকোলেট ফ্লেভার! ব্যস, ওই পর্যন্তই…।

এমনিতে চকোলেট বললে টপ অফ দ্য মাইন্ড ডার্ক চকোলেট, হোম মেড চকোলেটের কথাই মনে পড়ে। চকোলেট সিরাপ, লিকুইড চকোলেট আমার পছন্দের। আমি খুব মিষ্টি পছন্দ করি না। হয়তো অরেঞ্জ, মিন্ট ফ্লেভার থাকল, সেটা ভাল লাগে। বেসিক চকোলেট ভাল লাগে না। তবে আইসক্রিম খেলে অবশ্যই চকোলেট। ডার্ক চকোলেট, বেলজিয়াম ডার্ক চকোলেট আমার ফেভারিট।

চকোলেট ফ্লেভারের খাবার (রুকমা রায়)

চকোলেট খেতে আমি খুবই ভালবাসি। সেটা ছোট থেকেই। এখনও ভালবাসি। এই পছন্দটার কোনও পরিবর্তন হয়নি। তবে টকোলেটের চেয়েও আমি আগে আইসক্রিমের কথা বলব। চকোলেট ফ্লেভারড আইসক্রিম। আমার ফেভারিট। তবে এখানে একটা ব্যাপার আছে। অনেকেই শুনলে হয়তো হাসবেন। আমি কিন্তু চকোলেট গলিয়ে খেতে পছন্দ করি। ছোট থেকেই।

আপনাদের সঙ্গে মজার একটা ব্যাপার শেয়ার করি। ছোটবেলায় কেউ চকোলেট আনলে বালিশের তলায় রেখে দিতাম। যাতে গলে যায়। তারপর খেতাম। সেই গলানো চকোলেট এখনও পছন্দ। তবে আমার থেকে আমার মা বেশি চকোলেট পছন্দ করে। বাড়িতে চকোলেট আনা মানে আমার আগে মা শেষ করে ফেলবে। বেশিরভাগ সময় তাই-ই হয়।

চকোলেট ট্রুফেল, মুজও ভালবাসি। চকোলেট ফ্লেভারের রসগোল্লা এখনও খাইনি। তবে পেলে নিশ্চয়ই ট্রাই করব। চকোলেট গিফট দিতেও ভালবাসি আমি। অনেককেই দিই। আসলে যেগুলো খেতে ভালবাসি, সেগুলোই গিফট গিতে ভালবাসি। আমি নিজে কখনও চকোলেট দিয়ে রান্না ট্রাই করিনি। এমনিতেই ভয়ঙ্কর রান্না করি। মানে, খুব কম রান্না করি (হাসি)। চকোলেট দিয়ে এখনও এক্সপেরিমেন্ট করিনি।

অলঙ্করণ: অভিজিৎ বিশ্বাস