অগস্টেই পুজো। প্রতিমাও প্রায় প্রস্তুত। পুজো করবেন পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী। কুমোরটুলিতে বায়না দিয়েছেন প্রতিমাশিল্পী পশুপতি রুদ্র পালের কাছে। তারিখটা ঠিক মনে নেই, ডিসেম্বর মাস। আতিমারির প্রকোপ তখন কিছুটা কমেছে। পণ্ডিতজীর ফোন আসে। “একবার বাড়িতে এসো সুন্দর একটা ঠাকুর তৈরি করে দিতে হবে। নিজের মনের মত করে,” হেসে বলেন প্রতিমা শিল্পী।
নয়ের দশক থেকে আলাপ। গৌতম হালদারের সঙ্গে তার ছবি স্থির চিত্রগ্রাহক হিসেবে কাজ করতেন পশুপতি রুদ্র পাল। পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তীর উপরে ছবি। সেই সূত্রেই আলাপ। তারপর ‘অজয়দা’র শ্যামনগরের বাড়ির দুর্গা প্রতিমাও একবার করেছিলেন পশুপতি। বাড়ির অনুষ্ঠানে ছবি তোলার জন্য ডাক পড়ত কুমোরটুলির প্রতিমা শিল্পীর। “আরেকবার সরস্বতী মূর্তিও আমিই করেছিলাম। এখন তো পাথরের প্রতিমা পুজো হয়,” বলছেন প্রতিমা শিল্পী।
৮ ফুটের মাটির প্রতিমা। “বেনারসি পরাই মাকে?” প্রশ্নের উত্তরে শিল্পীর স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করতে চাননি অজয় চক্রবর্তী। বলেছেন নিজের মনের মত করে মাকে গড়তে। পশুপতিবাবু ঠিক করেছেন মায়ের পরনে থাকবে লাল রঙের বেনারসি আর অলঙ্কারের সাজ হবে রুপোলি রঙের। ডেলিভারি ডেট অগস্টের ১ তারিখ। হঠাৎ এত আগেই আগে ঠাকুর কেন? নিজের গানের শুটিং। সেখানেই বসবেন মা দুর্গা।
ভাবছেন তাহলে পুজোর জন্য নয়? উত্তর একটাই পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তীর কাছে গানই যে পুজো।