গত ২৬ মার্চ হোটেল রুম থেকে উদ্ধার হয়েছিল ভোজপুরি নায়িকা আকাঙ্ক্ষা দুবের দেহ। এর পর কেটেছে প্রায় দুই মাস। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান ছিল আত্মহত্যা করেছেন তিনি। তবে এবার নায়িকার অন্তর্বাস থেকে মিলল বীর্যের নমুনা। ইতিমধ্যেই তা ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। এখানেই শেষ নয়, ‘প্রেমিক’ সমর সিং ও তাঁর ভাই সঞ্জয় সিংয়ের ডি-এন পরীক্ষার আবেদনও করেছে পুলিশ। আর তাতেই তাঁর মৃত্যুরহস্যের জট কিছুটা খুলবে বলেই ধারণা পুলিশের।যত দিন যাচ্ছে ততই ঘনীভূত হচ্ছে ভোজপুরী অভিনেত্রী আকাঙ্ক্ষা দুবের মৃত্যু রহস্য। এর আগে ময়নাতদন্তের যে রিপোর্ট সামনে এসেছিল, তাতে জানানো হয়, অভিনেত্রী অপ্রকৃতস্থ অবস্থায় না থাকলেও তাঁর পাকস্থলীতে মিলেছেন ২০ মিলিলিটার অজানা তরলের উপস্থিতি। শুধু তাই নয়, নায়িকার কব্জিতে মিলেছে ক্ষতের দাগও। পাশাপাশি পাকস্থলীতে ফিনফিনে পাতলা যে পর্দা (mucous membrane) বা আস্তরণ থাকে, তা নষ্ট হয়ে গিয়েছে বলে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়।
প্রসঙ্গত, এর আগে অভিনেত্রীর পরিবারের তরফে খুনের অভিযোগ আনা হয়েছিল। নায়িকার মা মধু দুবে, সমর সিং ও তাঁর ভাই সঞ্জয় সিং নামক দুই ব্যক্তির দিকে আঙুলও তুলেছেন। ময়ের অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁদের গ্রেফতার করা হলেও আপাতত জামিনে মুক্ত তাঁরা। অন্যদিকে আকাঙ্ক্ষার আইনজীবী শশাঙ্ক শেখর ত্রিপাঠি ইতিমধ্যেই উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে সিবিআই তদন্ত চেয়ে এক চিঠিও লিখেছেন। তাঁর আরও চাঞ্চল্যকর অভিযোগ, আকাঙ্ক্ষার মায়ের অনুরোধ সত্ত্বেও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার আগে ইচ্ছাকৃত দাহ করে দেওয়া হয়েছে তাঁকে। এর পরেই ক্ষোভ অনুরাগীদের মধ্যে। তবে কি আত্মহত্যা নয়? প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা।
প্রসঙ্গত, কাজের জগতে বেশ সফল ছিলেন তিনি। হাতে একটির পর একটি কাজ ছিল তাঁর। এমনকি ইনস্টাগ্রামেও তার অনুরাগীর সংখ্যা কম ছিল না। তাই প্রাথমিক তদন্তে আত্মহত্যা মনে করলেও এর নেপথ্যে অন্য কারণ আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ‘মেরি জং মেরি ফ্যায়সলা’ ছবির মধ্যে দিয়েই ভোজপুরি জগতে হাতেখড়ি হয় তাঁর। এ ছাড়াও ভোজপুরি ছবি ‘মুঝসে শাদি করোগি’তে দেখা গিয়েছে তাঁকে। কম বয়সেই সুদক্ষ অভিনয়ের কারণে বেশ পরিচিতি পেয়েছিলেন তিনি। তাই মৃত্যুর দুই মাস পার হয়ে গেলেও মৃত্যুর কারণ নিয়ে ভক্তমনে প্রশ্ন রয়েই গিয়েছে।