ক্রিম টাইম কি শেষ! গত কয়েকবছর ধরে একের পর এক ছবি হিট লিস্টে নাম লিখিয়েছে অক্ষয় কুমারের। ঝড়ের গতিতে বক্স অফিসে যা আয় করেছে। কিন্তু কোথাও গিয়ে যেন এবার সেই সমীকরণের বেশ কিছুটা খামতি থেকে গেল। এক বছরে ১৬ ফ্লপ ছবি, বি-টাউন ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন এক সময় যে স্ট্রাগলিং স্টার, তিনিই আজ টিনসেল টাউনের লক্ষ্মীলাভের ভরসা, সত্যি তাই, পর্দায় অক্ষয় কুমার (Bollywood Star Akshay Kumar) মানেই নূন্যতম ১০০ কোটির ক্লাব, তবে সুপারস্টার খান সাম্রাজে সেই ছবি উধাও। না, খানেদের খামতি নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ আক্কি, তবে তাঁর মতে সাফল্যে সংজ্ঞা শুনলে অনেকের কাছেই বিষয়টা স্পষ্ট হয়ে যায়। ঠিক কোন কোন ক্ষেত্রে বাজিমাত করেন অক্ষয় কুমার, কীভাবে তিনি বিগত কয়েক বছরে একের পর এক ভালো ছবি (Block Baster Hit Movie) উপহার দিয়ে যাচ্ছেন!
সম্প্রতি এই নিয়ে মুখ খুলে অক্ষয় কুমার জানান, তিনি সময় সম্পর্কে বেজায় সচেতন। কোনও ছবির পেছনে তিনি ৪৫ থেকে ৫৫ দিনের বেশি সময় দিতে নারাজ। তাঁর কথায় সকলের সময়ের দাম রয়েছে। আর ঠিক এই কারণেই অক্ষয় কুমার বড় কোনও প্রজেক্ট যা টানা বছর ধরে চলবে, এমন ছবির সঙ্গে নিজেকে যুক্ত করেন না। তাতে খরচ বাড়ে, বেড়ে যায় বাজেট, পাশাপাশি একটা ছবির কাজ এতদিন চললে আগামী প্রজেক্টের কাজ পিছিয়ে যায়। তবে এমনটা নয়, যে তিনি কেবল ব্যবসার জন্যই ছবি করে। অক্ষয় কুমার জানান, সোশ্যাল মেসেজ থাকে তাঁর ছবিতে, হাস্যরস থাকে, পাশাপাশি যদি তা অর্থ উপার্জনেও সক্ষম হয়, তবে তো কেল্লাফতে। বিগ বাজেট ছবিই করতে হবে, কে বলেছে!
তবে কোথাও গিয়ে কি অক্ষয়ের সেই সমীকরণ বর্তমানে কাজ করছে না! বচ্চন পান্ডে মুক্তি পেতেই ফ্লপ তকমা। এবার রাম সেতু-পৃথ্বীরাজ ছবির পালা। তবে বর্তমানে চলতে থাকা তুলনামূলক আলোচনায় দক্ষিণী দুনিয়ার সঙ্গে যে অলিখিত প্রতিযোগিতা চলছে, এবার তা নিয়ে মুখ খুলে বিস্ফোরক অক্ষয় কুমার। সাফ জানালেন, এই ধরনের প্রশ্নকে তিনি প্রশয় দেবেন না। একই ভারতের বুকে দক্ষিণ-পশ্চিম কি! এই ভাগের রাজনীতিতেই ব্রিটিশরা রাজত্ব করেছে বছরের পর বছর, কবে সবাই বুঝবে গোটা ভারত এক। সাংবাদিক বৈঠকে সরব আক্কি।