বেশ কয়েকদিন ধরেই খবরের শিরোনামে সঙ্গীতশিল্পী অনুরাধা পাড়োয়াল। বলা যায় বিতর্কের কেন্দ্রেও তিনি। তাঁর গাওয়া ‘আজ ফির তুম পে’ গান এর রিমিক্স ভার্সন গাওয়ার জন্য অরিজিৎকে ভর্ৎসনা করেছিলেন তিনি এমনটাই অভিযোগ উঠছে কদিন ধরে। এবার বিবৃতি প্রকাশ করে অনুরাধা জানিয়েছেন তিনি ওই গানের রিমিক্স করে বিরোধিতা করেছেন, গায়ক বা অরিজিৎ সিংয়ের কোনও সমালোচনা করেননি।
ফিরোজ খানের পরিচালনায় ১৯৮৮ সালে মুক্তি পাওয়া ‘দয়াবান’ ছবিতে ‘আজ ফির তুম পে’ গানটি পঙ্কজ উদাসের সঙ্গে ডুয়েট গেয়েছিলেন অনুরাধা। সেই গানটিই কিছু বছর আগে ‘হেট স্টোরি ২’ তে ৯ বছর আগে নতুন ভাবে মুক্তি পায় অরিজিৎ সিংয়ের কণ্ঠে। সেই গানের প্রসঙ্গেই অনুরাধা সাক্ষাৎকারে বলেন, তিনি এই গান শুনে ‘কেঁদে ফেলেছিলেন ‘। এরপরই সমালোচনার মুখে পড়েন সঙ্গীতশিল্পী। অরিজিৎ -we মত শিল্পীকে অপমান করেছেন তিনি, এই অভিযোগে উত্তাল হয়ে ওঠে সোশ্যাল মিডিয়া। এর পরেই এদিন নতুন করে এক বিবৃতি প্রকাশ করে অনুরাধা জানিয়েছেন, তিনি রিমিক্স গানের বিরোধী। যিনি গানটি গেয়েছেন বা অরিজিৎ – এর বিরোধী নন। অযথাই মিডিয়া এই খবর নিয়ে সেনসেশন তৈরি করার চেষ্টা করছে।
ঠিক কী বলেছেন বরিষ্ঠ সঙ্গীতশিল্পী?
‘আমি চিরদিন রিমিক্স গানের চেয়ে মৌলিক গানকেই এগিয়ে রেখেছি। আমার বক্তব্য ছিল ‘আজ ফির তুম পে গান’ – এর রিমিক্স ভার্সন নিয়ে, গায়ককে নিয়ে নয়। রিমিক্স অরিজিনাল সৃষ্টিকে মাথায় রেখেই করা উচিৎ। ৯০ এর দশকের অনেক গানের রিমিক্স হয়েছে , তবে তাতে মৌলিক গানের প্রতি কোনও সুবিচার করা হয়নি। আমরাও অনেক সঙ্গীতপরিচালককে গানের মাধ্যমে শ্রদ্ধার্ঘ্য জানিয়েছি এবং তা যথেষ্ট সম্মানের সঙ্গেই জানিয়েছি।’
তিনি আরও বলেন , আমি সমস্ত সম্মানীয় মিডিয়া হাউসকে অনুরোধ করছি অযথা আমার বক্তব্যের অন্য ব্যাখ্যা করে অযথা সেনসেশন তৈরি করার চেষ্টা করবেন না। এই পৃথিবীতে আর অনেক ভালো কাজ আছে যে গুলো নিয়ে না হয় আলোচনা হোক। ‘
আসলে অনুরাধা এর আগে সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘একজন আমায় জানায় দায়াবানের ওই গানটি নাকি বর্তমানেও বেশ হিট হয়েছে। তাই তারপর আমি গানটি শুনি। আর শুনেই কেঁদে ফেলি। সঙ্গে সঙ্গে ইউটিউবে গিয়ে নিজের গাওয়া গানটা শুনতে হয়। একাধিক বার শুনি সেই গান। তারপর শান্তি আসে।’ শুধু তাই নয় যে কোনও রিমিক্স গান শুনলেই তাঁর কান্না আসে। নিজের গান না শোনা পর্যন্ত শান্তি পান না এই মন্তব্যও করেন অনুরাধা । এর পরেই অরিজিৎ ভক্তদের ক্ষোভের মুখে পড়েন সঙ্গীতশিল্পী।