
অরিজিৎ সিং, তিনি যে ঠিক কতটা মাটির মানুষ তার প্রমাণ নতুন করে দেওয়ার নয়। জিয়াগঞ্জেই আটকে রয়েছে তাঁর মন। তিনি প্রতিটা পদে পদে যেভাবে নিজের সংসার পরিবারকে সময় দিয়ে আসেন, যেভাবে নিজের ব্যক্তিজীবন ও পেশা জীবনকে আলাদা করে রেখেছেন, তা এক কথায় সকলের কাছে বেজায় অবাক কাণ্ড, যাঁর গান শুনতে দূর দূর থেকে মানুষের ভিড় জমে, যাঁর সঙ্গে দেখা করা ভক্তদের কাছে স্বপ্ন, তাঁর কনসার্ট শোনার জন্য যাঁরা লাখেরও টিকিট কেনেন, সেই অরিজিৎ জিয়াগঞ্জে পা রাখলেই এক অন্য মানুষ। প্রতিটা পদে পদে তিনি জানিয়েছেন, যে তিনি যে কোনও অনুষ্ঠানেই জিয়াগঞ্জে থাকতে পছন্দ করেন। বাড়ির টানে ফিরে আসেন। বিশেষ করে যখন অনুষ্ঠান, উৎসবে গায়কদের ডাক পড়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের জন্য, তখনই অরিজিৎ নিজেকে সরিয়ে নেন সকলের কাছ থেকে। কারণ তিনি উৎসবের সময় পরিবারের সঙ্গেই থাকতে চান। করেনও তাই। ফলে পেশার কারণে ব্যবহৃত গত ফোন নম্বর তিনি এই সময় বন্ধ করেই রাখেন।
এবার কালীপুজোতেও সেই একই ছাপ দেখা গেল। পাড়ার মন্দিরে পুজো দিতে এলেন তিনি। হাত জোড় করে করলেন প্রণাম। পাশাপাশি বেশ কিছুক্ষণ দাঁড়িয়েও থাকলেন প্রতিমার সামনে। তাঁকে দেখে এগিয়ে আসেন আসে পাশে বেশ কিছু ভক্ত। তাঁকে বিরক্ত না করলেও মুগ্ধ হয়ে সেই অরিজিকে দেখলেন সকলে। কারণ এভাবেও যে স্বপ্নের মানুষকে এত কাছ থেকে দেখা যায়, তাঁকে পাড়ার আর পাঁচজনের মতোই মনে হতে পারে, তা যে ন পলকে কেউ বিশ্বাস করতে রাজি নন। আর ঠিক সেই কারণেই অরিজিৎ সিংকে নিয়ে এতটাই গর্বিত বাংলা। নিজেকে এভাবেও যে ধরে রাখা যায়, এভাবেও যে জনপ্রিয়তার মোড়ক ছেড়ে সাধারণের মাঝে থাকা যায়, তা তিনিই একমাত্র দেখালেন।