প্রতিটা সাফল্যের পিছনেই থাকে কঠিন লড়াই। প্রতিটা পদে পদে যে লড়াইয়ের সাক্ষী থাকে সময়। একজন রাতারাতি কখনই স্টার হতে পারেন না। আর যাঁরা রাতারাতি স্টার হয়ে যান, তাঁদের হারিয়ে যেতেও খুব একটা সময় লাগে না। তবে অরিজিতের সিং-এর সাফল্যের পিছনে ছিল লম্বা কাহিনি। দিনের পর দিন একটা ভাল কাজের আশায় মুম্বইয়ে মাটি কামড়ে পড়েছিলেন তিনি। টাকার অভাবে পরিবারের থেকে সাহায্যও নিয়েছিলেন। ফেমগুরুকুল-এর প্রতিযোগী ছিলেন তিনি। সেখানে তাঁর কণ্ঠস্বর একাধিকবার সমালোচিত হয়। তিনি সেখানে সেরার সেরা হিসেবে নির্বাচিত হননি। বরং সেই সময়টা কেটেছে তাঁর আতঙ্কে, ভয়ে।
এই রিয়্যালিটি শোয়ের অন্যতম গুরু ছিলেন ইলা অরুণ। তিনি অরিজিতের সঙ্গে কিছু কারণ বশত কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছিলেন। তারপরই কেঁদে ভাসিয়েছিলেন তিনি। হাত জোড় করে তাঁর সামনে দাঁড়িয়েছিলেন। বারবার অনুরোধ করেছিলেন তিনি যেন একটু কথা বলেন। তিনি তাঁর কাছ থেকে শিখতে চান। তিনি কোনও ভুল করে থাকলে যেন তাঁক ক্ষমা করে দিয়ে থাকেন তিনি।
পাল্টা ইলা অরুণ জানিয়েছিলেন, তাঁর পূর্ণ অধিকার রয়েছে, যে তিনি কারও ওপর রাগ করবেন, অভিমান করবেন। সেই জায়গা থেকে দাঁড়িয়ে তিনি কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কিন্তু অরিজিৎ ছাড়ার পাত্র ছিলেন না। চোখের জলে ভেসেছিলেন। বারবার জানিয়েছিলেন, তিনি তাঁর থেকে শিখতে চান। তাঁর স্বপ্ন তিনি সেখানে গাইবেন, তিনি তাঁর কাছ থেকে তালিম নেবেন। সেই ভিডিয়ো পলকে ভাইরাল হয়ে যায়।
The reason Arjit singh is so down to earth
byu/Left_Bee5657 inBollyBlindsNGossip
সেই অরিজিৎ সিং আজ নিজেকে প্রমাণ করেছেন। চেষ্টা আর অনুশীলন দিয়ে যে স্বপ্ন ছোঁয়া যায় তা তিনি প্রমাণ করে দিয়েছেন। প্রমাণ করে দিয়েছেন, ইচ্ছে থাকলেই উপায় হয়। ধৈর্য্য ধরে রাখা ভীষণ জরুরী। সেই অরিজিতের গান শুনতে আজ লক্ষ লক্ষ মানুষের ঢল নামে।