পশ্চিমবঙ্গের জিয়াগঞ্জের ছেলে অরিজিৎ সিংয়ের উত্থান সম্পর্কে সকলেই জানেন। রিয়ালিটি শোয়ের মঞ্চ থেকে উঠে আসা এই প্রতিভাবান গায়ক এখন ভারতের গৌরব। তাঁকে ছাড়া কোনও বলিউড কিংবা টলিউড ছবির গান সম্পূর্ণ হয় না। মুম্বই স্বপ্ননগরীতে স্বপ্নের অট্টালিকা রয়েছে অরিজিতের। কিন্তু তিনি মাটি কামড়ে পড়ে থাকেন জিয়াগঞ্জেই। সাফল্যের সিঁড়ি বেয়ে অনেক উঁচুতে উঠেছেন ঠিকই। কিন্তু তাঁর মাথা ঘুরিয়ে যায়নি। এখনও নিজের ফেলে আসা জায়গা, ফেলে আসা সময়কে আঁকড়ে ধরে দিন যাপন করেন অরিজিৎ সিং। সাজ-পোশাকে আড়ম্ভর নেই, বিপুল প্রাচুর্য থাকা সত্ত্বেও দামি গাড়িতে চড়ে ঘুরে বেড়ান না অরিজিৎ। বেচাল দেখলে ধমকেও দেন। সেই নিদর্শনই পাওয়া গেল সম্প্রতি।
সম্ভবত জিয়াগঞ্জেই স্কুটি চালিয়ে, মুখে মাস্ক পরে রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন অরিজি। কোনও কিছুর শুট করছিলেন তিনি। তাঁকে অত কাছ থেকে দেখে রাস্তায় কিছু লোক তাঁর ফটো তুলতে গিয়েছিলেন। এমনটা হতে দেখে স্কুটি ঘুরিয়ে সামনে আসেন অরিজিৎ। ভদ্রভাষায় ধমক দিয়ে বলেন, “কথা শুনছিস, নাকি রোবট, বুদ্ধি আছে? পড়াশোনা করেছিস তো… এইখানে আমি এই জিনিসগুলো চাইছিলাম না বলেই কিন্তু চলে যাচ্ছিলাম ওইদিকে। যদি আমার ছবিই তুলতে হয় ওখানটায় চল, এখানটায় করিস না। আর যদি এখানটাতেই থাকতে হয়, ছবি তুলিস না।”
মিডিয়া থেকে শতহস্ত দূরে থাকেন অরিজিৎ। নিজের গানের প্রতি নিষ্ঠা এবং মানুষের প্রতি কর্তব্য করতে পিছপা হন না। সাক্ষাৎকার দেন না খুব একটা। মানুষের বিপদে ঝাঁপিয়ে পড়েন, কিন্তু প্রচার চান না। তাই জন্যেই তাঁকে দেখে মানুষ বলতে পারেন, “ওই যে আমাদের হিরো আসছে”।