
সাত সকালেই এল মন খারপের খবর। বলিউডে নক্ষত্রপতন। এক ছবির প্রাণকেন্দ্র যেন অভিনেতা-অভিনেত্রী, ঠিক ততটাই তা পর্দায় ফুঁটিয়ে তুলেত সাহায্য করেন একজন আর্ট ডিরেক্টার। বলিউডে একের পর এক বাঘাবাঘা ছবির আর্ট ডিরেকশনের পিছনে থাকা অন্যতম নাম নীতীন দেশাই। যাঁর প্রয়াণের খবরে শোকে ডুবল সিনেপাড়া। যাঁর কাজ বারবার চমক দিয়েছে পর্দায়, তিনিই আজ নেই। খবর প্রকাশ্য আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র। বুধবার সকালে ND স্টুডিয়োতে মেলে নীতীন দেশাইয়ের ঝুলন্ত দেহ। প্রাথমিক পুলিশ সূত্রে খবর, গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৫৭ বছর। নিজের স্টুডিয়োতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
রায়গরের পুলিশের আওতায় থাকা এই স্টুডিয়ো থেকে তাঁর দেহ নিয়ে যাওয়া হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য। যদিও এখনও কোনও সুইসাইড নোট পাওয়া যায়নি। তবে সূত্রের খবর, মাথায় মোটা টাকার ঋণের দায় থাকায় এমনই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন তিনি। বিজেপি নেতা বিনোদ তাওরে নীতীনের খুব ভাল বন্ধু ছিলেন। নীতীনের এই আকষ্মিক মৃত্যুর প্রসঙ্গে বলেন, আমি মাঝে মধ্যেই ওকে বোঝাতাম। বলেছিলাম তোমার স্টুডিয়ো লোনে ডুবে থাকলে নতুন করে শুরু করতে হবে। ৫২ একর জমির ওপর তাঁর স্টুডিয়ো। যেখানে একের পর এক বিগ বাজেট কাজ হয়েছে। তিনি সেট তৈরি করাতে ছিল পারদর্শী। লগান থেকে শুরু করে দেবদাস, হাম দিল দে চুকে সনম থেকে শুরু করে যোধা আকবর, তাঁরই হাতে তৈরি। কাজ করেছেন একের পর এক বাঘাবাঘা পরিচালকদের সঙ্গে। খবর সামনে আসা মাত্রই সকলেই শো প্রকাশ করেছেন। দেনায় দায় সহ্য করতে না পেড়ে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলেই ঘনিষ্টসূত্রে খবর। যদিও এখনও পর্যন্ত কোনও চুরান্ত মন্তব্য করেনি ভারপ্রাপ্ত থানার পুলিশ।