Bengali Actress: বাঙালি নায়িকার আত্মহত্যা খাটে বসে দেখলেন প্রেমিক!
Bengali Actress: বাংলাদেশি নায়িকা হোমায়রা হিমুর মৃত্যু নিয়ে ক্রমেই ঘনীভূত হচ্ছে একের পর এক রহস্য। মৃত্যু নাকি হত্যা তা নিয়ে চলছে তদন্ত। ইতিমধ্যেই হিমুর 'প্রেমিক' জিয়াউদ্দিনকে গ্রেফতার করেছে সে দেশের পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে আত্মহত্যার প্ররোচণায়।
বাংলাদেশি নায়িকা হোমায়রা হিমুর মৃত্যু নিয়ে ক্রমেই ঘনীভূত হচ্ছে একের পর এক রহস্য। মৃত্যু নাকি হত্যা তা নিয়ে চলছে তদন্ত। ইতিমধ্যেই হিমুর ‘প্রেমিক’ জিয়াউদ্দিনকে গ্রেফতার করেছে সে দেশের পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে আত্মহত্যার প্ররোচণায়। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের দাবি, ঘটনার সময় ঘরেই ছিলেন নায়িকার প্রেমিক। শুধু তাই নয়, শোনা যাচ্ছে, আত্মহত্যার ঘটনা খাটে বসে দেখেনও সেই অভিযুক্ত। উঠে আসছে আরও হাড়হিম করা ঘটনা। কী ঘটেছে?
হোমায়রা হিমু কে?
১৯৮৫ সালের ২৩ নভেম্বর লক্ষ্মীপুর জেলায় জন্ম নেন বাংলাদেশে এই নায়িকা। মঞ্চ নাটকে অভিনয়ের মাধ্যমেই অভিনয় জগতে হাতেখড়ি হয় হিমুর। ‘ফ্রেঞ্চ’ নামক এক নাট্য দলের সঙ্গে শুরু করেন কাজ করতে। কাজ করতে শুরু করেন বাংলাদেশের বিভিন্ন নাটকেও। ২০১১ সালে ‘আমার বন্ধু রাশেদ’ ছবি দিয়েই বড় পর্দায় পথ চলা শুরু করেন তিনি। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে তৈরি এই ছবিতে তাঁর নজরকাড়া অভিনয় চোখ এড়িয়ে যায়নি কারও।
প্রেমিকের পরিচয়
বাংলাদেশের একাধিক প্রথম সারির দৈনিক ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিগত বেশ কিছু বছর ধরেই জিয়াউদ্দিন নামক এক ব্যক্তির সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন এই নায়িকা। বাংলাদেশের উত্তরার এক আবাসনে মেকআপ আর্টিস্ট মিহিরের সঙ্গে থাকতেন নায়িকা। মিহিরকে নিজের পালিত ভাই হিসেবেই দেখতেন হিমু। শোনা যাচ্ছে, ওই ফ্ল্যাটে অনায়াস যাতায়াত ছিল জিয়াউদ্দিনের। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ সন্ত্রাস দমনের উদ্দেশ্যে গঠিত বাহিনী র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ান ওরফে র্যাবের তরফে পরিচালক খন্দকার আল মইন সে দেশের সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “জিয়াউদ্দিন ২০১৪ সালে হিমুর এক নিকটাত্মীয়কে বিয়ে করেন। সেই সূত্রেই পরিচয় হয় দু’জনের। দুই মাসের মধ্যেই হোমায়রার নিকটাত্মীয় ও জিয়াউদ্দিনের মধ্যে বিবাহবিচ্ছেদ হয়। কিন্তু হিমু ও জিয়াউদ্দিনের পরিচয় বাড়তে থাকে। ২০২০ সালে জিয়াউদ্দিন আবার অন্যত্র বিয়ে করেন। বিয়ের পরও হিমুর সঙ্গে যোগাযোগ চালিয়ে যান। চার মাস ধরে তাঁদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাঁর বাড়িয়ে নিয়মিত যাতায়াত ছিল সেই ব্যক্তি। কিন্তু নানা বিষয় নিয়ে দু’জনের মধ্যে মনোমালিন্য লেগেই থাকত। মাঝেমধ্যেই আত্মহত্যার হুমকি দিতেন নায়িকাও।
সেদিন কী ঘটে?
সংবাদমাধ্যমে ‘যুগান্তর’ জানাচ্ছে ঘটনার দিন বিকেল ৩টে নাগাদ হিমুর বাড়ি যান জিয়াউদ্দিন। ঝামেলা হতে থাকে দু’জনের। সে সময় হিমুর সেই পালিত ভাই তথা মেকআপ আর্টিস্ট মিহির গিয়েছিলেন বাথরুমে। হিমু ও তাঁর প্রেমিক ছিলেন। মিহির বের হয়ে দেখেন ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছেন তাঁর দিদি। পাশেই বসে জিয়াউদ্দিন। এর পরেই দু’জনে মিলে হাসপাতালে নিয়ে যান নায়িকা হিমুকে। সেখানে গেলে চিকিৎসকেরা নায়িকাকে মৃত ঘোষণা করেন। এর পরেই নায়িকার ফোন নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে চম্পট দেন জিয়াউদ্দিন। যদিও যুদ্ধকালীন তৎপরতায় গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এই মুহূর্তে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে তাঁর। ঘটনার খতিয়ে দেখছেন পুলিশ।