রূপকথার গল্পে সুয়োরানি-দুয়োরানির গল্প পড়েছেন সকলেই। এক রাজার দুই রানি, বহুবিবাহের গল্প কারও অজানা নয়। কিন্তু এ যুগেও রয়েছে এমন উদাহরণ! তবে তফাৎ একটাই। 'রাজার রাজত্ব'-এ দুয়ো কেউ নন, সবাই যেন চোখের মণি।
ব্যাপারটা খুলে বলা যাক-- নাম রবিজুল ইসলাম। বাঙালি এই যুবককে নিয়েই এখন সামাজিক মাধ্যমে আলোচনা তুঙ্গে। কেন জানেন? তাঁর বিবাহিত জীবন এতটাই বর্ণময় যে তাজ্জব হয়ে গিয়েছেন সকলে!
একটা নয়, দুটোও নয়, সাত সাতটি বিয়ে করেছেন বছর ৩৮-এর এই যুবক। সংবাদমাধ্যমের কাছে তিনি জানিয়েছেন, মায়ের এক মানত পূর্ণ করার কারণেই এতগুলো বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
সাত বউকে নিয়ে এক ছাদের নীচে সুখের সংসার তার। স্ত্রীরা মিলেমিশে থাকছেন একই বাড়িতে। রবিজুল ইসলামের স্ত্রীরা হলেন- রুবিনা, হেলেনা, নুরনাহার, স্বপ্না, বানু, জুঁই ও মিতা।
এঁদের প্রত্যেকেরই দারুণ সম্পর্ক। রবিজুলকে স্বামী হিসেবে ভাগ করে নিতে কারও কোনও আপত্তিই নেই। এক স্ত্রীর কথায়, "আমাদের মধ্যে সদ্ভাব রয়েছে। স্বামী হিসেবে কিছুই অপূর্ণ রাখেন না উনি। আমরা সবাই বোনের মতো থাকি।"
প্রথম স্ত্রী রুবিনাকে দেখেশুনেই ১৯৯৯ সালে বিয়ে করেন রবিজুল। এর পর তিনি কাজের উদ্দেশে চলে যান লিবিয়াতে। সেখানে গিয়ে আলাপ হয় হেলেনার সঙ্গে। এর পর বিয়ে।প্রতস্ত্রীর দুই সন্তান। দ্বিতীয় স্ত্রীর দুই সন্তান ও তৃতীয় স্ত্রীর এক সন্তান।
গত মাসেই তিনটে বিয়ে করেছেন তিনি। আশেপাশে সকলেই রবিজুলের এই সাত বিয়ে নিয়ে অবগত। অনেকেই ব্যাপারটা ভাল ভাবে দেখেননি। তাঁদের মতে এতজন স্ত্রী একসঙ্গে থাকা হারাম। যদিও রবিজুল এ ব্যাপারে নিরুত্তর।
রবিজুলের বাড়ি বাংলাদেশের কুষ্টিয়া সদর উপজেলার পাটিকাবাড়ি মিয়াপাড়ায়। পাড়ার লোকজন প্রথম দিকে আপত্তি করলেও এখন মেনেই নিয়েছেন। দিনের শেষে সকলকে নিয়ে ভাল আছেন যুবক, ভাল আছেন তাঁর স্ত্রী-সন্তানরা। স্বামী হিসেবে কর্তব্যও তিনি পালন করছেন, অভিযোগ নেই কারও। আর সে কারণেই তাঁকে তাঁর মতো জীবন কাটাতেই ছেড়ে দিয়েছেন সকলে।