Pousali Banerjee at Police Station: মালদহ থানায় ‘আটক’ গায়িকা পৌষালী, হোটেল থেকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ

Pousali Banerjee-Bengali Singer: থানায় বসে 'আমার হাত বান্ধিবি, পা বান্ধিবি' গাইলেন বাঙালি গায়িকা পৌষালী বন্দ্যোপাধ্য়ায়। সেই সময় তাঁকে চারপাশ থেকে ঘিরে ধরেছিলেন পুলিশ অফিসারেরা। তারপর কিছুক্ষণ অপেক্ষার পর তাঁকে ছেড়েও দেওয়া হয়। এমন কি করেছিলেন পৌষালী, যে তাঁকে থানায় ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল?

Pousali Banerjee at Police Station: মালদহ থানায় 'আটক' গায়িকা পৌষালী, হোটেল থেকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ
পৌষালী বন্দ্যোপাধ্যায়।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 17, 2023 | 11:32 PM

থানায় বসে ‘আমার হাত বান্ধিবি, পা বান্ধিবি’ গাইলেন বাঙালি গায়িকা পৌষালী বন্দ্যোপাধ্য়ায়। সেই সময় তাঁকে চারপাশ থেকে ঘিরে ধরেছিলেন পুলিশ অফিসারেরা। তারপর কিছুক্ষণ অপেক্ষার পর তাঁকে ছেড়েও দেওয়া হয়। এমন কি করেছিলেন পৌষালী, যে তাঁকে থানায় ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল?

এই অদ্ভুত ভিডিয়ো পৌষালী নিজেই শেয়ার করেছিলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। ফেসবুকে যে ভিডিয়ো তিনি শেয়ার করেছিলেন, তাতে দেখা যাচ্ছে পৌষালী থানায় বসে গান গাইছেন এবং তাঁকে ঘিরে ধরে বসে আছেন থানার সব পুলিশ অফিসারেরা। গায়িকার পোস্টে তাঁর ক্যাপশন জ্বলজ্বল করছে, “থানায় ধরে নিয়ে গিয়েছিল। গান শোনার পর ছেড়ে দিল”। এক লহমায় এই পোস্ট দেখার পর সকলের মনে হতে শুরু করে, কোন অপরাধে পৌষালীকে পুলিশ সঙ্গে করে ধরে নিয়ে গেল। তারপর গায়িকার গান শুনে তাঁকে ছেড়েও দিল।

বিষয়টা অনেকটা সেরকম হলেও পুরোটা সত্যি নয় একেবারেই। TV9 বাংলাকে ঘটনার পুরো বিবরণ দিয়েছেন পৌষালী। মালদহে গান গাইতে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে গাজোলে শো করার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু প্রবল বৃষ্টিতে সব ভেস্তে যায়। হোটেলের ঘরে বসে ছিলেন পৌষালীরা। অতদূর গিয়ে শো হল না। তাই মন মরা হয়ে পড়েছিলেন। এমন সময় ৩-৪টে জিপে করে পুলিশ আসে। হোটেলে ঢুকেই পৌষালীকে বলেন, “ম্যাডাম, আপনাকে আমাদের সঙ্গে থানায় যেতে হবে।”

হকচকিয়ে যান পৌষালী এবং তাঁর সঙ্গীরা। এমন সময় পুলিশদের একজন বলেন, “আমাদের এসআই মেনকা খাতুন। তিনি যেতে বলেছেন আপনাকে।” বিষয়টায় প্রথমে শিরদাঁড়া দিয়ে ঠান্ডা স্রোত নেমে গিয়েছিল পৌষালীর। তারপর তাঁর ভুরুতে ভাঁজ দেখে এক পুলিশ আমের জেলি এবং শাড়ি নিয়ে এগিয়ে আসেন।

পৌষালী গল্পটা বলতে-বলতে বলেন, “এটা একটা এপিক। বিশ্বাস করুন। গাজোল থানা ১৮৭২ সালে তৈরি হয়। সেখানে একটি বহু প্রাচীন কালী মন্দিরও আছে। মেনকাকে আমি ৩ বছর ধরে চিনি। ও মুসলমান হয়েও কালীর ভক্ত এবং আমার কৃষ্ণের গান শুনতে ভালবাসে খুব। লোকে ধর্ম নিয়ে কত কিছু বলে, কিন্তু আমি আপনাকে বলতে চাই, এই মানুষগুলোর কথা বলুন। এরকমই হয়। থানায় ওই মন্দির দর্শন করি আমরা এবং আমাদের খুব আদর আপ্যায়ন করা হয় সেখানে। আমি আপ্লুত হই খুব।” থানায় যাওয়ার পর পৌষালীকে গান গাওয়ার অনুরোধ করা হয়। গোটা থানা তাঁকে ঘিরে ধরে গান শোনে। পৌষালী এও বলেছেন, “কী বিচিত্র অভিজ্ঞতা হয়েছে ভাবতে পারবেন না। মনে হচ্ছে, গানটা না গাইলে হয়তো লকআপে যেতাম আমি।” এই বিরল ঘটনার কথা নিজের আত্মজীবনীতে লিখবেন পৌষালী। জানিয়েছেন সেই কথাও।