টেনে হিঁচড়ে বার করা হচ্ছে দেহ! সিসিটিভিতে ধরা পড়ল দিব্যার নির্মম খুন
খুন হয়েছেন পঞ্জাবি মডেল দিব্যা পাহুজা। বয়স হয়েছিল ২৭ বছর। গুরুগ্রামের সিটি পয়েন্ট হোটেলে খুন করা হয়েছে তাঁকে, প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে এমনটাই। শুধু তাই নয়, তদন্তে সামনে এসেছে খুন করে তাঁর দেহ টেনে হিঁচড়ে নেওয়ার সিসিটিভি ফুটেজ, যা দেখলে রীতিমতো শিউরে উঠতে হয়। কেন তাঁকে খুন?
খুন হয়েছেন পঞ্জাবি মডেল দিব্যা পাহুজা। বয়স হয়েছিল ২৭ বছর। গুরুগ্রামের সিটি পয়েন্ট হোটেলে খুন করা হয়েছে তাঁকে, প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে এমনটাই। শুধু তাই নয়, তদন্তে সামনে এসেছে খুন করে তাঁর দেহ টেনে হিঁচড়ে নেওয়ার সিসিটিভি ফুটেজ, যা দেখলে রীতিমতো শিউরে উঠতে হয়। কেন তাঁকে খুন? কারা খুন করল? পুলিশ সূত্রে সামনে আসছে চাঞ্চল্যকর কিছু তথ্য। জানা যাচ্ছে,অপরাধ জগতের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল এই মডেলের। মাত্র ১৮ বছর বয়সেই তিনি পঞ্জাবের কুখ্যাত গ্যাংস্টার সন্দীপ গাডোলির সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। ২০১৬ সালে এক পুলিশি এনকাউন্টারে মৃত্যু হয় সন্দীপের। মুম্বই পুলিশের তথ্য অনুসারে, গাডোলির প্রতিদ্বন্দ্বী দলের মাথা বিন্দের গুজ্জর হরিয়ানা পুলিশের সঙ্গে মিলিত হয়েই সন্দীপ গাডোলিকে হত্যার ছক কষেন। গুজ্জর নিজে কিন্তু তখন ছিলেন জেলে। ভাই মনোজের সহায়তায় দিব্যাকে মধুচক্রের টোপ হিসেবে ব্যবহার করে জাল এনকাউন্টারের মাধ্যমে শেষ করা হয় সন্দীপকে, পিটিআই সূত্রে খবর এমনটাই।
ঘটনায় জেল হয় দিব্যার। সাত বছর জেলে কাটিয়ে ২০২৩ সালে জামিনে মুক্তি পেলে দিব্যার। কিন্তু প্রেমিককে ফাঁসিয়ে খুনের অভিযোগে তখন তিনি অনেকে চক্ষুশূল হয়ে উঠেছে। দিব্যার পরিবারের অভিযোগ, গ্যাংস্টার সন্দীপ গাদোলির বোন সুদেশ কাতারিয়া ও তাঁর ভাই ব্রহ্ম প্রকাশই দিব্যাকে খুনের ছক কষেছিল। এর পরেই হোটেল মালিক অভিজিৎ সিংয়ের সঙ্গে মিলিত হয়ে ওই মডেলকে শেষের পরিকল্পনা করেন তাঁরা। যে হোটেলে দিব্যা ওঠেন সেই সিটি পয়েন্টের মালিক ছিলেন অভিজিৎ। অভিযোগ, পঞ্জাবি এই মডেলকে খুন করেন হোটেল মালিক অভিজিৎই। শুধু খুন নয় দিব্যার দেহ পাচারের উদ্দেশে এক সহযোগীকে প্রায় ১০ লাখ টাকাও দেন অভিজিৎ, খবর তেমনটাই।
২ জানুয়ারি হোটেলের ১১ নম্বর ঘরেই ঘটে দিব্যাকে নির্মম খুনের ঘটনা। হোটেলের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে খুন করে তাঁর দেহ টেনেহিঁচড়ে হোটেল থেকে বার করে তোলা হয় বিএমডব্লিউ গাড়িতে। ঘটনার মূল অভিযুক্ত অভিজিৎকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আগামী দিনে তদন্ত কোন পথে এগোয় এখন সেটাই দেখার। দিব্যার বাবা ছিলেন সবজি বিক্রেতা। ছোট থেকে উচ্চাশা ছিল তাঁর। কিন্তু তার পরিণাম যে এমন হতে পারে, তা নিজেও হয়তো ভাবতে পারেননি তিনি।