২০২৩ সালে তাঁর জন্মদিন ২১ মার্চ নতুনরূপে আত্মপ্রকাশ করবেন রানি মুখোপাধ্যায়। সম্প্রতি রানি নিজেই তাঁর নতুন অবতারের কথা ভক্তদের জানিয়েছেন। অভিনেত্রী থেকে এবার তিনি হতে চলেছেন লেখিকা। তিনি নিজের আত্মজীবনী লিখেছেন।
এই বিষয়ে রানি বলেছেন, “ভারতীয় সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিতে আমি যে ২৫ বছর এত ভালবাসার সঙ্গে কাটিয়েছি, আমি আমার জীবন এবং সিনেমায় আমার যাত্রা সম্পর্কে নিজের হৃদয়ের কথা কখনও বলিনি। সিনেমায় নারী হিসাবে আমাদের প্রতিনিয়ত বিচার করা হয় এবং বইটি আমার ব্যক্তিগত পরীক্ষা এবং কষ্ট এবং এটি আমার উপর যে প্রভাব ফেলেছিল তা বর্ণনা করবে, কারণ আমি শিল্প এবং আমার ক্যারিয়ারে নেভিগেট করেছি।”
তাঁর বক্তব্য অনুযায়ী, “আমার কাছে থেমে যাওয়ার, আমার জীবনের দিকে ফিরে তাকানোর সময় নেই পূর্ববর্তী এবং অন্তর্নিহিতভাবে। এই স্মৃতিকথাটি ছিল আমার শৈশব থেকে আমি যা ছিলাম তা মনে করিয়ে দেওয়ার উপায়।” তিনি আরও যোগ করেছেন, “এটি আমার ভক্তদের জন্য এবং প্রতিটি একক ব্যক্তির জন্য যাঁরা আমাকে সীমাহীন ভালবাসা দিয়েছেন এবং আমাকে ভিত্তি করে রেখেছেন। আমি তাঁদের প্রতিক্রিয়ার জন্য অপেক্ষা করছি যখন এই বইটি পরের বছর আমার জন্মদিনে প্রকাশিত হবে, দিনটিকে আরও বিশেষ করে তুলবে!”
স্মৃতিকথাটি রানির যাত্রার একটি ব্যক্তিগত, নিরস্ত্রীকরণমূলকভাবে সৎ বিবরণ। এটি পাঠকদের বলিউড তারকার জীবন সম্পর্কে একটি নজর দেবে যা আগে কখনও হয়নি। হার্পারকলিন্স ইন্ডিয়া ২১ মার্চ, ২০২৩ সালে প্রকাশিত অভিনেত্রী রানি মুখোপাধ্যায়ের আত্মজীবনী অধিগ্রহণের ঘোষণা করতে পেরে আনন্দিত। প্রকাশনার তরফ থেকে সিনিয়র কমিশনিং এডিটর বুশরা আহমেদ বলেছেন, “আমাদের অনেকের জন্য যাঁরা ২০০০-এর দশকে বড় হয়েছি, রানি মুখোপাধ্যায় ছিলেন এমন একজন অভিনেত্রী, যাঁর মধ্যে সৌন্দর্য, সতেজতা এবং একজন বাধ্যতামূলক অভিনয়শিল্পী- সবই একসঙ্গে বিরাজমান ছিল।”
বুশরা এখানেই থামেনি, তিনি আরও যোগ করেছেন, “তিনি সিনেমায় সেই সময়ের অন্তর্গত যখন তারকারা সোশ্যাল মিডিয়ার খ্যাতির ধাক্কাধাক্কি ছাড়াই রূপোলি পর্দায় ঝলমল করতেন। তাঁর মধ্যে সেই সঙ্গে ছিল একজন অভিনেত্রী যিনি নিজের সিনেমায় নারীর শক্তিশালী চিত্রায়ন করতেন।” রানি শুধু নায়িকারূপে নায়কের বাহুলগ্না হয় থাকেননি, শক্তিশালী নারী চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকদের অবাক আর মুগ্ধ- দুই করেছেন।