Chanchal Chowdhury: ‘চারপাশটা অন্ধকার, দম বন্ধ হয়ে আসছে…’, ভাল নেই চঞ্চল চৌধুরী?

TV9 Bangla Digital | Edited By: বিহঙ্গী বিশ্বাস

Apr 16, 2023 | 4:31 PM

Chanchal Chowdhury: একটা বছর চলে গেল, নতুন বছর এল... অথচ মন ভাল নেই দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরীর। কষ্ট জমাট বেঁধে আছে গলার কাছে।

Chanchal Chowdhury: চারপাশটা অন্ধকার, দম বন্ধ হয়ে আসছে..., ভাল নেই চঞ্চল চৌধুরী?
চঞ্চল চৌধুরী।

Follow Us

 

 

একটা বছর চলে গেল, নতুন বছর এল… অথচ মন ভাল নেই দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরীর। কষ্ট জমাট বেঁধে আছে গলার কাছে। চারপাশটা অন্ধকার, দম যেন বন্ধ হয়ে আসছে তাঁর। চতুর্দিকে ঘোর লাগা ব্যাপার। উৎসবের দিনে আরও বেশি করে মনে পড়ছে বাবার কথা, মনে পড়ছে ছেলেবেলার কথা। গ্রামে তখনও বিদ্যুৎ আসেনি তাঁদের। বাবা ও মা তালপাতার পাখায় বাতাস দিয়ে সারারাত জেগে ঘুম পাড়াতেন ছোট্ট চঞ্চলকে। সেই সব স্মৃতিই আরও বেশি করে মনে পড়ছে তাঁর। চঞ্চল লিখছেন, “ইদানিং আমার চোখে মোটা ফ্রেমের চশমা আর ব্যাক ব্রাশ করা চুল দেখলেই আমার ভাইবোনেরা বলে,আমি নাকি দেখতে দিন দিন বাবা’র মত হয়ে যাচ্ছি। বাংলা বছরের প্রথম দিনটা পার হয়ে গেল।অভ্যাসটা ছিল বাবা মাকে ফোন করে শুভ নববর্ষ বলা,আশীর্বাদ নেয়া। এবার আর ফোনে বাবাকে পাইনি….কয়েক মাস আগে বাবা আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন অনন্তলোকে। আমার ভেতরটা যে কি কয়,কেমন করে বাবার জন্য,কাউকেই বোঝাতে পারিনা।

হঠাৎ করেই যখন মনে হয় বাবা নেই….চারপাশটা অন্ধকার লাগে,দম বন্ধ হয়ে আসে।বাবা ছাড়া কয়টা মাস,কি যেন এক ঘোরের মধ্যে বাস করছি।
সমস্ত অস্তিত্ব জুড়ে যেন বাবা’র চলাফেরা।” এখানেই থামেননি তিনি। তাঁর কথায়। তাঁর লেখনিতে উঠে এসেছে স্মৃতিচারণ, উঠে এসেছে দু’টি হাতের কথা। কজে দুই হাতে লেগেছিল ভালবাসা, লেগেছিল মায়ের আদর, বাবার স্নেহ জড়ানো স্পর্শ। চঞ্চল আরও যোগ করেন, “তখন গ্রামে বিদ্যুৎ আসেনি…..অবিচল দুটো হাত সারারাত পালাক্রমে তালপাখায় বাতাস দিয়ে ঘুম পাড়াচ্ছে আমায়….হাত দুটো ছিল বাবা আর মায়ের। কি যে নেশা গো ঐ পাখার বাতাসে!!!ভেজা চোখে এখনও দেখতে পাচ্ছি ঐ হাত,দুটি হাত,তালপাখা। বাবা নেই,বাবা আমার কাছে বেশী করে আসে ইদানিং…..আজও এলো এই গরমে,তালপাখা হাতে নিয়ে,আমাকে বাতাস দিয়ে ঘুম পাড়াতে।” চঞ্চলের ওই লেখায় চোখ ভিজেছে নেটিজেনদের।

গত ডিসেম্বরে প্রয়াত হন অভিনেতার বাবা। মৃত্যুর সঙ্গে লড়াইয়ে পরাজিত হন তাঁর বাবা অশীতিপর রাধা গোবিন্দ চৌধুরী। সেরিব্র্যালে আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। ছিলেন ভেন্টিলেশনে। শত চেষ্টা করেও বাবাকে ফিরিয়ে আনতে পারেননি চঞ্চল। শোক এখনও ফিকে হয়নি অভিনেতার মনে। বাবাকে হারিয়ে আরও বেশি করে বাবার কাছে যাওয়ার, বাবাকে কাছে পাওয়ার আকাঙ্ক্ষায় কাতর তাঁর মন।

 

 

Next Article