শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে কৌতুকশিল্পী আবু হেনা রনির। তবে সঙ্কট এখনও কাটেনি তাঁর, জানা যাচ্ছে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিউটের সমন্বয়ক ডাক্তার সামন্ত লাল সেনের তরফে। এ দিন সংবাদমাধ্যমে সামন্তলাল সেন বলেন, “আজকের শারীরিক অবস্থা মোটামুটি স্থিতিশীল। তবে বার্ন পেশেন্ট যতক্ষণ বাড়ি না ফিরবে ততক্ষণ তাঁকে শঙ্কামুক্ত বলা চলে না। চিকিৎসকেরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছেন।” রনির শারীরিক অবস্থা খতিয়ে দেখতে সোমবার হাসপাতাল পরিদর্শনে যান বাংলাদেশ পুলিশের মহা-পরিদর্শক বেনজির আহমেদও। ভবিষ্যতে গ্যাস বেলুন ফেটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা যাতে এড়ানো যায় সে কারণে পুলিশের তরফে যথাসাধ্য চেষ্টা নেওয়া বলে বলেও এদিন আশ্বাস দেন তিনি।
শুক্রবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশের গাজীপুর জেলা পুলিশ লাইনসে মেট্রোপলিটন পুলিশের চতুর্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে গ্যাস বেলুন বিস্ফোরিত হয়। এতে রনি সহ আরও পাঁচজন অগ্নিদগ্ধ ও আহত হন। শনিবারই রনিকে হাই ডিপেনডেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ) স্থানান্তর করা হয়েছে। শ্বাসনালি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জনপ্রিয় কমেডিয়ানের।
এপার বাংলার এক জনপ্রিয় রিয়ালিটি শো’য়ে প্রতিযোগী হিসেবে অংশ নিয়েছিলেন রনি। তাঁর কমির টাইমিং, সূক্ষ্ম রসবোধের মাধ্যমে অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই জনপ্রিয়তা অর্জন করে নেন তিনি। ছিনিয়ে নেন বিজয়ীর মুকুটও। ওই অনুষ্ঠানে সঞ্চালকের দায়িত্ব ছিলেন মীর আফসার আলি। রনির এই খবরে তিনি লিখেছেন, “আবু হেনা রনি নিজেই আগুন। ওকে পোড়ায় কার সাধ্য? দোয়া করবেন সবাই।” ওই অনুষ্ঠানের বিচারকের ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল শ্রীলেখা মিত্রকে। তিনিও সুস্থতা কামনা করেছেন তাঁর।
প্রসঙ্গত, গাজীপুরে পুলিস প্রশাসনের চার বছর পূর্তি উপলক্ষে অনুষ্ঠানে যারা অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন তাঁদের মধ্যে আবু হেনা রনি ছাড়াও আরও ৪ জন রয়েছেন। রয়েছেন জিল্লুর রহমান, মোশারফ হোসেন, ইমরান হোসেন, রুবেল হোসেন। এদের মধ্যে জিল্লুর রহমান ও আবু হেনা শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি রয়েছেন। বাকি তিনজন ভর্তি রয়েছেন শহিদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে, বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে এমনটাই।