২০২৩ সালের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট বিশ্বকাপে অংশ নিতে পারলেন না শুভমন গিল। তিনি ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি আছেন হাসপাতালে। তাঁর দ্রুত আরোগ্য কামনা করছেন অনুরাগীকুল। সেই তালিকায় নাম আছে সচিন তেন্ডুলকরের কন্যা সারারও। তিনিও শুভমনের আরোগ্য কামনা করে বার্তা পাঠিয়েছেন। টুইট করেছেন সারা। সেই টুইটে কি লিখেছেন তারকা সন্তান?
টুইট করে সারা লিখেছেন, “তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠো শুভমন”। সেই একটি টুইটে মুহূর্তেই সারা পেয়েছেন ৪.৭ মিলিয়ান ভিউজ় এবং ১০৪.২কে লাইকস। সারার টুইটে এই পরিমাণ সাড়া দিলেন কেন নেটিজ়েনরা? এর কারণ, গুজব ছিল সারার সঙ্গে একটা সময় নাকি চুটিয়ে প্রেম করেছিলেন শুভমন। সেই প্রেম গড়িয়েছিল অনেক দূর পর্যন্ত। শোনা যায়, সারার বাবা ক্রিকেট ঈশ্বর সচিনের কাছে অনুশীলনও নিতেন শুভমন। কিন্তু পরবর্তীকালে প্রেমটা ভেঙে যায় দু’জনের। শুভমনের সঙ্গে নাম জড়ায় আরও এক সারার। তিনি পতৌদি পরিবারের রাজকন্যা সইফ আলি খানের কন্যা অভিনেত্রী সারা আলি খান। মুম্বইয়ের একটি ক্যাফেতে তাঁদের দেখাও গিয়েছিল একসঙ্গে। এক ‘এক্স’ (সাবেক টুইটার) ব্যবহারকারী ভিডিয়ো রেকর্ড করে পোস্ট করে দিয়েছিলেন। ভাইরাল সেই পোস্টও।
তবে একটা সময় সচিন কন্যার সঙ্গে নাকি প্রচুর ঘুরে বেরিয়েছেন শুভমন। চুপিসারে বেশ কিছু ছুটিও কাটিয়েছেন তাঁরা। বারবারই তাঁদের জুটিতে দেখা গিয়েছে বিমানবন্দরেও। যদিও সবই এখন অতীত। এখন ফের নতুন করে সারা তেন্ডুলকরের টুইট নিয়ে হইচই শুরু হয়েছে। যদিও সেই টুইট তিনিই করেছেন কিনা তা নিয়েও সংশয় তৈরি হয়েছে। অনেকেরই অনুমান, এই পোস্ট তিনি নিজে করেননি। হয়তো করেছে তাঁরই কোনও ফ্যান পেজ।
পিটিআইয়ের রিপোর্ট অনুযায়ী, ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হওয়ার পর প্রেটলেট সংখ্যা কমে যায় শুভমনের। তারপরই তাঁকে ভর্তি করা হয় চেন্নাইয়ের একটি হাসপাতালে। সূত্র মারফত জানা যায়, “চেন্নাইয়ের টিম হোটেলেই ড্রিপ চালিয়ে রাখা হয়েছিল শুভমনকে। তাঁর প্লেটলেট সংখ্যা কমে যায় ৭০ হাজার। বলা হয়, ১ লাখের নীচে প্লেটলেট নামলেই ডেঙ্গি রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করার নিয়ম। শুভমনের ক্ষেত্রেও, তাঁর প্লেটলেট সংখ্যা ১ লাখ ছাড়ালে তবেই তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হবে।”